muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

উত্তপ্ত পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চল; যুদ্ধে জড়াবেন ট্রাম্প?

গত শনিবার সৌদি তেল শোধনাগারের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এর পেছনে ইরান জড়িত। এদিকে সৌদি আরবও একই কথা বলছে। আর সেই প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটি। ইরানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছে দেশটি। তাহলে ইরানকে হটিয়ে দিতে সৌদি আরব কী সামরিক ব্যবস্থা নিতে পারে?

তেমন সম্ভাবনা কম বলেই মনে হচ্ছে। ইরানের জনসংখ্যা এখন ৮ কোটি। অন্যদিকে সৌদি আরবের জনসংখ্যা ৩ দশমিক ৩ কোটি। ইরান তার অস্ত্রভাণ্ডারে হাজার হাজার মিসাইল মজুদ রেখেছে। সৌদি তেল-ক্ষেত্র, শোধনাগার, সামরিক ঘাঁটি এবং জনবহুল শহরগুলো এর লক্ষবস্তুতে পরিণত হতে পারে। তুলনামুলকভাবে সৌদি আরবের অস্ত্রভাণ্ডারে শত শত চীনা মিসাইল থাকলেও তাদের মিসাইল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বেশ দুর্বল। এই তথ্য জানা যায় বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে। 

প্রতিবেদনে জানা যায়, সৌদি বিমান বাহিনীতে জঙ্গি বিমানের সংখ্যা ইরানের প্রায় সমান। তবে সৌদি বিমানগুলো বেশ আধুনিক এবং কার্যকর। অন্যদিকে ইরানের বিমান বাহিনীর জঙ্গি বিমানগুলো বেশ পুরনো এবং অদক্ষ। পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ইরানের মিত্ররা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। সৌদি আরবের শিয়া জনগোষ্ঠীর সমর্থনও ইরান পাবে। তবে যদি সৌদি আরব এবং ইরানের মধ্যে কোন সরাসরি লড়াই শুরু হয়, তাহলে দু’পক্ষকেই নির্ভর করতে হবে বিমান বাহিনী এবং ক্ষেপণাস্ত্র শক্তির ওপর। কিন্তু ওই যুদ্ধে কোনো পক্ষেরই নিরঙ্কুশ বিজয় হবে না।

অন্যদিকে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন সেনা, বিমান এবং নৌবহর মোতায়েন করা হয়েছে। কিন্তু দেশটির প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কোনো দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে চান না বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, লড়াই শুরু হলে মার্কিন সেনা-ঘাঁটি এবং নৌবহরগুলো ইরানি হামলার ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। এছাড়া, বিশ্বের সর্বমোট তেল চাহিদার এক পঞ্চমাংশ হরমুজ প্রণালী দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেটিও তখন যুদ্ধের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে বিপাকে পড়বে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে আবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘনিয়ে আসছে। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন পেট্রোল পাম্পগুলোতে তেলে দাম হঠাৎ করে আকাশ-ছোঁয়া হয়ে গেলে ট্রাম্পের নির্বাচনে জেতার আশা কঠিন হয়ে পড়বে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান কিংবা যুক্তরাষ্ট্র কোনো দিনই সেনা সংঘর্ষ চাইবে না। এর আগে ১৯৮৮ সালে ইরানের বিমান বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ বাঁধে মার্কিন বাহিনীর। যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বড় ধরনের সংঘর্ষ। দু’দেশই তার পুনরাবৃত্তি পছন্দ করবে না।

Tags: