muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

ফিলিস্তিন-কাশ্মীর নিয়ে জাতিসংঘে জোরালো বক্তব্য এরদোয়ানের

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে কড়া বক্তব্য দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ান। কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নির্বিকার ভূমিকারও সমালোচনা করেছেন তিনি।

মঙ্গলবার সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে পশ্চিমা দেশগুলোর জনরঞ্জনবাদী নেতাদেরকে ইসলামবিরোধী বক্তব্যের জন্যও অভিযুক্ত করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট। খবর: আরটি ডটকম ও ডন।

এরদোয়ান বলেন, ‘ভয়াবহভাবে বাড়তে থাকা বর্ণবাদী, জাতিবিদ্বেষী এবং ইসলামবিরোধী বক্তব্য বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি। জনরঞ্জনবাদী নেতারা ভোটের জন্য একাজ করছেন… এমনকি বাক-স্বাধীনতার অজুহাতে বিভিন্ন সম্প্রদায়ও এটাকে স্বাভাবিক হিসেবে মেনে নিচ্ছে।’

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বর্তমান চিত্র দেখাতে একটি কার্ডবোর্ড প্রদর্শন করেন এরদোয়ান। ২০১২ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচির চিত্র তুলে ধরতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রথম এ ধরনের কার্ডবোর্ড প্রদর্শনের কৌশল নেন।

১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ফিলিস্তিন ভাগ থেকে শুরু করে বর্তমান অবস্থা সম্বলিত কার্ডবোর্ড মানচিত্র দেখিয়ে এরদোয়ান বলেন, ‘কোথা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ড শুরু এবং শেষ হলো? আজ ফিলিস্তিন বলতে কিছু নেই। গোটা ভূখণ্ড ইসরায়েলের। এটা কি ইসরায়েলের জন্য যথেষ্ট? না, ইসরায়েল বাকি ভূখণ্ডও গ্রাস করতে চায়।’

এসময় মার্কিন প্রস্তাবিত ‘ডিল অব দ্য সেঞ্চুরি’র কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের এই পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং ফিলিস্তিনিদের প্রাধান্য মুছে ফেলা। এটা বাস্তবায়ন হলে কেবল রক্তপাতই হবে।’

এসময় ভারত শাসিত কাশ্মীর নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার সমালোচনা করে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধি থেকে কাশ্মীর ইস্যুকে আলাদা করা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবেশী পাকিস্তানি এবং ভারতীয়দের সঙ্গে কাশ্মীরি জনগণের নিরাপদ ভবিষ্যতের স্বার্থে ন্যায়নীতি ও সমতার ভিত্তিতে এই সমস্যার সমাধান গুরুত্বপূর্ণ, সংঘাতের মাধ্যমে নয়।’

এরদোয়ান বলেন, ‘জাতিসংঘে রেজ্যুলেশন গৃহীত হলেও কাশ্মীর এখনো অবরুদ্ধ এবং কাশ্মীরের ৮০ লাখ মানুষ বন্দি জীবন যাপন করছে।’

Tags: