রাজশাহীতে স্বামীর সাথে পাবিবারিক কলহ নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে কলেজ ছাত্রীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহী টিটিসির সামনে ওই ছাত্রী অত্মহত্যার চেষ্টা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আত্মহত্যার চেষ্টাকারী কলেজ ছাত্রীর নাম লিজার রহমান (২০) বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায়। তিনি রাজশাহী মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। তার স্বামির নাম সাখাওয়াত হোসেন তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলায়।
পুলিশ জানায়, তার স্বামীর সাথে শনিবার সকালে তাদের পারিবারিক সমস্যা হয়। এক পর্যয়ে সে তাকে ছেড়ে চলে যেতে চাই। এতে লিজা তাকে হুমকি দেয়। পরে লিজার শশুর ও শাশুড়ি এসে সাখাওয়াতকে নিয়ে চলে যায়। এবং এ বিষয়ে নগরীর শাহমখদুম থানায় একটি জিডির প্রক্রিয়া চলছিলো। এসময় লিজা থানায় যায় বিষটি মিমাংসার জন্য। পরে সেখান থেকে বের হয়ে সে অত্মহত্যা চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুর অড়াইটার দিকে লিজা তারগায়ে অগুন দেয়। পরে নজরে আসে স্থানীদের। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকরা জানান, তার শরীরের সামনে কোমরের ওপর থেকে মুখমন্ডল শ্বাস নালীসহ প্রায় ৪৫শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা বর্তমানে আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে রাজশাহী শাহ মখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা বলেন, ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সেই ছাত্রী থানায় অভিযোগ করতে অসেনি। তিনি ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে অভিাযোগ করতে গিয়ে নাম লিখিয়ে চলে যান।
এ বিষয়ে আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সদর ও নগর পুলিশের মুখোপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, সে প্রথমে থানায় যায়। পরে সেখানে তার স্বামীর সাথে সমোঝতার কথা বলেন।পরে ওসি তাকে ভিকটিম সার্পোট সেন্টারে অভিযোগ করতে বলেন। সেখানে গিয়ে সে তার নাম ঠিকানা বলার পর মামলা করবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বেরিয়ে যান। পরে সে কেরোসিন কিনে গায়ে অগুন দেয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।