ধর্ষকদেরকে বাঁচাতে রাজনৈতিক দৌড়ঝাঁপ শুরু করে দুই বছর ৩ মাস ৫দিনেও রক্ষা করতে পারেনি এক আওয়ামী লীগ নেতা। ধর্ষিতার মামলায় অবশেষে জেল হাজতে যেতে হলো আব্দুল আলিমকে।
সোমবাব সুনামগঞ্জ জেলা নারী শিশু দমন আদালতে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামজুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেন। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২ জুলাই উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ সৈদেরগাঁও ইউনিয়নে সুহিতপুর গ্রামে লন্ডন প্রবাসী মনাফ আলীর বাসার কেয়ারটেকার এক সন্তানের জননীকে দিবালোকে স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাসায় ঢুকে অস্ত্রের মুখে জিন্মি করে পালাক্রমে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও নগদ টাকা লুটপাট করে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ধর্ষিতা বাদী হয়ে ৮ জনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরদিন ৩ জুলাই মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর স্থানীয় এক আ’লীগ নেতা ধর্ষকদেরকে বাঁচাতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে অবশেষে রক্ষা করতে পারেননি। ধর্ষিতার নিরাপত্তার জন্য সুহিতপুর গ্রাম থেকে তাকে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন।