muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

সুন্দরবনে থামছেই না হরিণ শিকার, জনবল সংকটকে দায়ী করছে বনবিভাগ

সুন্দরবনে কোনোভাবেই হরিণ শিকারিদের তৎপরতা রোধ করা যাচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি সত্ত্বেও থেমে নেই হরিণ শিকার। সুন্দরবন এলাকা থেকে প্রায়ই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক হচ্ছে হরিণের মাংসসহ শিকারিরা। চলতি মৌসুমে সুন্দরবনে আবারও বেড়েছে হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকারিদের তৎপরতা।

গত কয়েক বছর বনরক্ষী অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযানে সুন্দরবন সংলগ্ন বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার হরিণঘাটা, পদ্মা, রুইতা মাজের চরসহ বনের বিভিন্ন যায়গা থেকে হরিণের মাংস, চামড়া, হরিণ ধরার ফাঁদসহ হরিণ শিকারি আটক করা হয়েছে। তবে আটক হলেও আইনের ফাঁক-ফোঁকড় গলে কিছুদিনের মধ্যে মুক্ত হয়ে আবারও তারা স্বদর্পে ফিরে আসছে পুরোনো পেশায়। তবে সবসময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় মূল হোতারা। সম্প্রতি গত ৬ অক্টোবর কোস্টগার্ড ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে উপজেলার রুহিতা মাজের চর এলাকা থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকাসহ ৭৫০ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। এ সময় একজন শিকারিকে আটক করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।

বনবিভাগের তথ্যমতে, সুন্দরবন সংলগ্ন পাথরঘাটার বিভিন্ন এলাকা থেকে গত তিন বছরে অভিযান চালিয়ে ১ হাজার ৬৩ কেজি হরিণের মাংস, ১০টি হরিণের চামড়া, আটটি মাথা, ১৫টি পা উদ্ধার করা হয়। এতে পৃথক-পৃথক ছয়টি মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়।

সূত্রে জানা গেছে, সংঘবদ্ধ শিকারির চক্র সুন্দরবন এলাকায় মাছ ধরার পাস-পারমিট নিয়ে হরিণ শিকারে বেপড়োয়া হয়ে উঠে। শুধু হরিণ শিকারই নয় সুন্দরবন থেকে গাছ পাচারও করছে এসব চোরা কারবারিরা। উপকূলীয় এলাকা পাথরঘাটায় ৬ হাজার হেক্টরজুড়ে চারটি সংরক্ষিত বনাঞ্চল রয়েছে। এর মধ্য হরিণঘাটা, রুহিতা মাজের চর, বাইনচুটকি মাজের চর এলাকায় রয়েছে হরিণের অবয়াশ্রম। এসব দেখবালের জন্য বন অধিদফতরের একটি রেঞ্জ রয়েছে। এ রেঞ্জের অধীনে ১২০ জন জনবল থাকার কথা থাকলেও সেখানে রয়েছে মাত্র ২৪ জন। আর এ জনবল সংকটকেই দায়ী করেছে পাথরঘাটা বনবিভাগ।

বনবিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, হরিণ শিকার বন্ধ করতে বনবিভাগের নিয়মিত অভিযান চলছে। এ ছাড়াও অভিযান জোরদার করতে পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানের পরিকল্পনা চলছে। আশা করি অচিরেই এ এলাকা থেকে হরিণ পাচার বন্ধ হবে।

Tags: