muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

যে কোন মূল্যে পার্বত্য তিন জেলায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

যারা চাঁদাবাজি করছে, খুন করছে, অযথা রক্তপাত করছে তাদের ভয়ংকর দিন আসছে এমন হুঁশিয়ারি দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে কোনও জায়গায় গিয়ে রেহাই পাবেন না, সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে। পাহাড়ে আর কোনও রক্তপাত দেখতে চাই না।

তিনি বৃহস্পতিবার বিকালে রাঙ্গামাটির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে তিন পার্বত্য জেলার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, পার্বত্য এলাকার শান্তি সংরক্ষণে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। যে কোন মূল্যে পার্বত্য চট্রগ্রামের তিন জেলায় শান্তি  প্রতিষ্ঠা করা হবে। এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে এবং এ অঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দয্যে বিশ্বের  এক অনন্য স্থান। এ অঞ্চল অস্থিতিশীল থাকবে এটা মেনে নেয়া যায় না। মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের কারণে অশান্তির সৃষ্টি হবে এটা কাম্য নয়। তিন পার্বত্য জেলার জনগণের সহযোগিতায় এখানে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, এখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এখন অনেক দক্ষ, অত্যন্ত শক্তিশালি, যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম। এখানে কাউকে  চাঁদাবাজি করে, অস্ত্রের মহড়া দিয়ে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছিলেন। দেশের জনগণের সহযোগিতায় বর্তমানে দেশ জঙ্গীবাদ মুক্ত। চরমপন্থিরা আত্মসমর্পণ করেছে; তারা এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছে। সুন্দরবনকে জলদস্যু মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামকে শান্ত করার জন্য যে শান্তিচুক্তি করা হয়েছে তারই আলোকে এখানে শান্তির সুবাতাস ছড়িয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। শান্তির সুবাতাস দেশের সব জেলার মতো পার্বত্য তিন জেলায়ও সমানতালে ছড়িয়ে দিতে আমরা কাজ করছি। মন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের পর্যটন সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে যে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন হয়েছে, সে জায়গায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকেও কাজে লাগিয়ে এখানকার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করতে হবে।

পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈ সিং এমপি বলেন, আমাদের মূল কথা হলো আমরা শান্তি চাই। জনগণের জান মাল রক্ষা করার জন্য,  পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নিবেন আমরা সরকারকে সহযোগিতা করব।

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি’র সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন রাঙ্গামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, ডিজিএফআই মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাইফুল আবেদিন, বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাফিন আহমেদ, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহুল ইসলাম, পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, চট্টগ্রাম সেনবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল এসএম মতিউর রহমান, বিজিবি’র চট্টগ্রার রেঞ্জের রিজিয়ন কমান্ডার আমিনুর রহমান শিকদার, চাকমা সার্কেল চিফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমাসহ তিন পার্বত্য জেলার রিজিয়ন কমান্ডার, তিন পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক, তিন পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার, তিন পার্বত্য জেলার বিজিবি অধিনায়ক, তিন পার্বত্য জেলার ডিজিএফআই অধিনায়কসহ তিন পার্বত্য জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ।

Tags: