পাকিস্তান সীমান্তে প্রায় ২০০ সাঁজোয়া সামরিক যান মোতায়েন করছে ভারত। এসব সাঁজোয়া যানে দেশটির তৈরি ট্যাংক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র থাকবে।
পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় এ বহর মোতায়েন করা হবে বলে জানিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা শাখা (আইডিআরডব্লিউ)।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পার্সট্যুডের খবরে বলা হয়েছে, পুরো অঞ্চলটি জুড়ে নদী এবং খাল রয়েছে বলে সীমান্ত এলাকায় যান মোতায়েনের মধ্য দিয়ে বাড়বে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সক্ষমতা।
রাস্তা বা সড়ক পথে ৫০০ এবং নদী বা খাল পথে ২৫০ কিলোমিটার টহল দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এসব সাঁজোয়া গাড়ির। সব ধরনের রাসায়নিক, জৈব এবং পরমাণু দূষণ নির্ণয়ে সক্ষম আট চাকার এ গাড়ির সব চাকাই স্টিয়ারিং হুইলের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। একে এইট ডব্লিউডি বলা হয়।
এতে ট্যাংক বিধ্বংসী গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বা এটিজিম, ৩০ মিমি কামান এবং ৭ দশমিক ৬২ সম কক্ষের মেশিন গান বসানো থাকবে। কামান যে দিকে তাক করা হবে এটিও সেদিকে তাক হয়ে যাবে।
পাশাপাশি কাঁধ থেকে ছোড়ার উপযোগী ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এতে সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। পাক-ভারত উত্তেজনা যখন তুঙ্গে তখন এ সাঁজোয়া বহর সীমান্তে মোতায়েনের উদ্যোগ নিলো নয়াদিল্লি।
আইডিআরডব্লিউ বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান পাক সীমান্তে ঢুকে পড়লে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত উত্তেজনার পারদ চরমে ওঠে। এর আগে ভারতনিয়ন্ত্রিত অঞ্চল পুলাওয়ামায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন জইশ-ই-মহাম্মদের বোমা হামলায় ৪০ ভারতীয় আধাসামরিক বাহিনীর সদস্য নিহত হয়। এরপরই ভারতীয় পার্লামেন্টে কাশ্মীরের মর্যাদা বাতিলসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চিরপ্রতিদন্দ্বী দুই দেশের মধ্যে এ উত্তেজনা ছড়াতেই থাকে।
এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন সময় পাঞ্জাব এবং রাজস্থানের সীমান্ত দিয়ে পাক ড্রোন ভারতে ঢুকেছে এবং সেসব ড্রোনকে ভূপাতিত করার দাবি জানানো হয় ভারত সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে।
এসব ঘটনার ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় যান মোতায়েনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।