ভারতে বিতর্কিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই উত্তাল দিল্লি। প্রতিবাদ-বিক্ষোভ চলছে বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদেও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, বিখ্যাত লালকেল্লা চত্বরসহ দিল্লির একাধিক জায়গায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। তা উপেক্ষা করেই সকাল থেকে রাস্তায় নামে বিক্ষোভকারীরা।
পুলিশ তাদের বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন স্বরাজ ইন্ডিয়ার সর্বভারতীয় সভাপতি যোগেন্দ্র যাদব। পুলিশ তাকেও আটক করে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে দিল্লির মান্ডি হাউস চত্বরেও উত্তপ্ত হয়ে উঠে পরিস্থিতি। বিক্ষোভকারীদের রুখতে নামানো হয় র্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স (র্যাফ)। সেখানে বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দিল্লির এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়া বন্ধ রাখা হয়েছে ১৬টি মেট্রো স্টেশনও। যেগুলোর মধ্যে রয়েছে, লালকেল্লা, জামে মসজিদ, চাঁদনি চক, জামিয়া মিলিয়া, জাসোলা বিহার, শাহিন বাগ এবং মুনিরকা।
নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তাল বেঙ্গালুরুও। বিক্ষোভ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইতিহাসবিদ রামচন্দ্র গুহকে। সেখানেও ১৪৪ ধারা জারি উপেক্ষা করেই টাউন হলের সামনে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হন। সেখান থেকে রামচন্দ্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
সংবাদমাধ্যমকে রামচন্দ্র বলেন, ‘সংবিধান প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমকে বলার সময় আমাকে আটক করে পুলিশ। আমার হাতে গান্ধীজির একটা প্ল্যাকার্ড ছিল। এখানে কোনো ধরনের সহিংসতাও হয়। দেশে কি স্বৈরতন্ত্র চলছে?’
প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে শুক্রবার থেকে টানা বিক্ষোভ চলছে ভারতজুড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার সঙ্গে পুলিশের একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে। এর মধ্যে জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের নৃশংস হামলার প্রতিবাদে দেশটিতে ছাত্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।