muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

যশোর অঞ্চলে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন, দেখা মিলছে না সূর্যের

অগ্রাহায়ণ কেটেছে বিনা শীতে। এখন পৌষ মাস। পৌষ মাসের শুরু হতে না হতেই ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীত জেকে বসেছে যশোর অঞ্চল। এই শীতে জনজীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বেলা বারার সাথে সাথে কুয়াশাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শীত ও বাতাসের তীব্রতা বাড়ছে।

শীতের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী, পথচারী থেকে শুরু করে নানা বয়সী মানুষ। বিশেষ করে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দুর্ভোগের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। সূর্যী মামার দেখা মেলা ভার।

শুক্রবার, শনিবার, রবিবার সকালে ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে বাস, ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে। যশোর শহরের পথচারী জিল্লুর রহমান বলেন যে, কয়েকদিনের তুলনায় বৃহস্পতিবার  সন্ধ্যা থেকে শীত অনেক বেশি পড়ছে। শীতের সঙ্গে বাতাসও হচ্ছে। শীতের কাপড় গায়ে দিয়েছি তবুও শীত যাচ্ছে না।

উপজেলার তেঘরি গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন যে, খুব শীত, সকালের দিকে মাঠে কাজ করতে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। গরীব মানুষ ভালো কাপড়-চোপড়ও কিনতে পারি না। আমাদের খুবই কষ্ট ভাই। রিকশাচালক জহির বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় গত তিন দিন ধরে শীত একটু বেশিই মনে হচ্ছে। শীতের কারণে সকাল ও সন্ধ্যায় রিকশা চালাতে সমস্যা হচ্ছে।

বাস চালকরা বলেন যে, সকালে ঘন কুয়াশা আর বাতাসের কারণে শীত বেশি অনুভব হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে লোকজন খুব একটা বের হচ্ছে না। তীব্র শীতের কারণে যাত্রী কম থাকায় গাড়ি চলাচলও কমে গেছে। ঘন কুয়াশায় কারণে সকালে ও রাতে গন্তব্যে পৌঁছাতে প্রায় দ্বিগুণ সময় লাগছে।

ট্রাক চালকরা বলেন, এতো পরিমান কুয়াশা যে হেড লাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে তারপরও রাস্তা দেখা যাচ্ছে। বিপরীতদিক থেকে আসা গাড়িও দেখা যাচ্ছে না সহজে এতে করে সর্তকতার সাথে খুব ধীরগতিতে গাড়ি চলাতে হচ্ছে এতে করে বেশিরভাগ সময় সঠিক সময় নিদিষ্ঠ গন্তব্যে পৌঁছাতে পাচ্ছি না।

Tags: