বরগুনার আমতলীতে সরকারী ধান ক্রয়ে অনিয়মের অভিযোগে আজ ( ৯ জানুয়ারি) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় আমতলী নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরা পারভীন টিএন্ডটি সড়কে অবস্থিত খাদ্য গুদামে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় তিনি অবৈধ ভাবে ধান সরবরাহকারী ফেরদৌস এর নিকট থেকে ১শ’ ৯৫ বস্তা ধান ক্রয়ের সত্যতা পান।
এ অনিয়ের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে উপ-খাদ্য পরিদর্শক অঞ্জন কুমার ডাকুয়াকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০ দিনের বিনা শ্রম কারাদন্ড ও ধান সরবরাহ কারী আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোতাহার মৃধা এর ভাগিনা ফেরদৌসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে নিয়োজিত) মো. শফিকুল ইসলাম এবং ওসিএলএসডি রবীন্দ্র নাথ মন্ডলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তাদের উর্ধতন কর্তপক্ষের নিকট সুপারিশ করেন
জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় কৃষকের নিকট থেকে সরকারী ভাবে এবছর ১হাজার ৪০ টাকা মন দরে ২ হাজার ৯১ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়। খাদ্য বিভাগের লোকজন ওই ধান কৃষকের নিকট থেকে না কিনে এক শ্রেণির দালালের মাধ্যমে নিম্ন মানের ধান ক্রয় করছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগ পান। ফেরদৌস আমতলীর উত্তর টিয়াখালী গ্রামের ৫ জন কৃষকের কার্ড সংগ্রহ করে ওই কার্ডের অনুকুলে খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহের জন্য গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানি উপজেলার মেসার্স দীপ্ত এন্টার প্রাইজের মালিক সুনিল সমদ্দার এর আড়ৎ থেকে ধান ক্রয় করে ট্রাক যোগে আমতলী এনে খাদ্য গুদামে সরবরাহ করে।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা ওসিএলএসডি রবীন্দ্র নাথ মন্ডলকে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার জানান, জব্দ করা ধান পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনিরা পারভীন জানান, কৃষকের নিকট থেকে ধান না কিনে খাদ্য বিভাগের লোকজন দালালের মাধ্যমে নিম্ন মানের ধান ক্রয় করে খাদ্য গুমামে মজুদ করার খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।