muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলায় ৭৩কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ, দাম ১ লাখ ১৬ হাজার

আজ বুধবার বগুড়া গাবতলীর ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মেলায় বাঘাইড় মাছসহ দেশী-বিদেশী বড় বড় মাছ, মিষ্টি, কাঠ ও ষ্টীলের ফার্ণিচার এবং শিশুদের জন্য বিনোদনে মেলায় হাজার হাজার কেনা-বেচা করতে আসা মানুষের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল। এবারের মেলায় গাবতলীর মহিষাবান গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী বিপ্লব সিরাজগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বড় আকষর্নীয় ৭৩ কেজি ওজনের বিশাল আকৃতির বাঘাইড় মাছ। এই বাঘাইড়টি বিক্রি করছেন ১হাজার ৬শত টাকা কেজি দরে। এই কেটে কেটে ১লাখ ১৬হাজার টাকা বেচা হয়েছে। এছাড়াও যমুনা নদী থেকে আনা ৬৫. ৪২ ও ৩৪ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছ কেটে বিক্রি হচ্ছে ১২’শ থেকে ১৬’শ টাকা কেজিতে। সিরাজগঞ্জ সদরের মাছ ব্যবসায়ী সাইদুল ইসলাম যমুনা নদী থেকে ৬৫ কেজি ওজনের বাঘাইড় মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মেলায় বিক্রি করেছে। তিনিও একই দামে বিক্রি করছেন।

এছাড়াও মেলায় বোয়াল মাছের দাম প্রতি কেজি ১৫শ টাকা, নদীর বড়বড় কাতলা ১হাজার টাকা কেজি, আইড় মাছ ১৪ ’শ থেকে ১৫’শ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। রুই বিক্রি হচ্ছে ৭’শ টাকা কেজি, চিতল ১২’শ টাকা থেকে ১৪ টাকা কেজি, নদীর পাঙ্গাস ১হাজার টাকা কেজি, ব্রিগেড ৬শ’ টাকা কেজি, বড় সিলভার কাপ ৪.৫০’শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য জাতের মাছও মেলায় উঠেছে। তবে মাছের রাজা ইলিশ মেলায় উঠে নাই। মেলার জন্য ১০ কেজি ওজনের মাছ আকৃতির মিষ্টি তৈরী করেছেন বিশিষ্ট মিষ্টি ব্যবসায়ী আব্দুল লতিফ। মহিষাবান এলাকার মিষ্ঠি ব্যবসায়ী বাদশা এবার ১হাজার মন মিষ্টি মেলায় তুলেছেন। ভাল মিষ্ঠির দাম হাকানো হয়েছে ৪ টাকা কেজি। এছাড়াও মেলায় মাছ, মিষ্টি, গরুর মাংস, বড়ই (কুল), কাঠ ও ষ্টীলের ফার্নিচার, কস্মেটিকসহ বিভিন্ন দ্রব্যসামগ্রী হাট-বাজারের মতোই ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে যা চোখে পড়ার মতো। মেলায় লাখো মানুষের পদচারণ হয়েছে। এছাড়াও গাবতলী থানা সদরে কাজী বাজারে, দূর্গাহাটা হাইস্কুল মাঠ, বাইগুনী ও সুবাদবাজারে মাছ-মিষ্টির মেলা বসেছিল।

উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের গোলাবাড়ী বন্দর সংলগ্ন পোড়াদহ নামক স্থানে প্রায় ৪’শ বছর পূর্বে থেকে স্থানীয় সন্ন্যাাসী পূজা উপলক্ষে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থান পরিবর্তন করে গোলাবাড়ী বন্দরের পূর্বধারে সম্পূর্ণ ব্যক্তি মালিকানা জমিতে একদিনের জন্য মেলা বসে। মেলাটি একদিনের হলেও তিনদিন পর্যন্ত চলে। প্রতিবছর বাংলা সনের মাঘ মাসের শেষ বুধবার মেলাটি হয়। মেলা উপলক্ষে পার্শবর্তী উপজেলাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেনীর মেলায় দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে মেলার পরিচালক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ঐতিহ্যবাহী পোড়াদহ মেলাকে ঘিরে উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে চারিদিকে। মেলায় মেয়ে-জামাই, আত্মীয় স্বজনসহ লাখো মানুষের পদচারণা মুখরিত হয়ে উঠেছিল গোটা এলাকায়। মেলায় শিশুদের জন্য বিনোদনমূলক বিচিত্র গান, নাগোরদোলা, চরকি এবং মটরসাইকেল খেলা ছিল।

গাবতলী মডেল থানার ওসি সাবের আহমেদ রেজা বলেন, পোড়াদহ মেলাটি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দ্বারা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল। মেলা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে প্রতিবছরের মতো আজ গাবতলীর মহিষাবান ইউনিয়নের রানীরপাড়া গ্রামে বউমেলা অনুষ্ঠিত হবে।

Tags: