muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

লাইফ স্টাইল

করোনা : অনলাইনে কেনাকাটা কি নিরাপদ?

ভয়াবহতার দৌরাত্ম্যে দিনকে দিন করোনাভাইরাস যেন আরো ভয়ংকর হয়ে উঠছে। ক্রমবর্ধমান হারে বাড়তে থাকা আক্রান্তের সংখ্যা যেন ঠিক তারই মূর্তিমান প্রতিচ্ছবি। আর তাই সরকার থেকেও বলা হচ্ছে, আমরা যেন সবসময় বাসায় থাকি। এমনকি বিভিন্ন কোম্পানিগুলোর কর্মীদের বেশিরভাগই বর্তমানে বাসায় থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।

আর এই সচেতনতা অবলম্বনের জন্যই অনেকে ইতোমধ্যে অনলাইন থেকে অর্ডার দিয়ে পণ্য আনানো শুরু করেছেন। কিন্তু অনলাইন থেকে অর্ডার করে পণ্য কেনার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস। সুতরাং চলমান সংকটে যে প্রশ্নটি বারবার উঠে আসছে সেটি হলো, ‘আমাদের কি অনলাইনে কেনাকাটা করা উচিত?’ 

তবে এই প্রশ্নের উত্তরটা আমাদের মনে একটুখানি হলেও স্বস্তি নিয়ে আসবে। কেননা, বিশেষজ্ঞদের মতে অনলাইন থেকে যেকোনো জামা-কাপড় বা এই ধরনের পণ্য ক্রয় করার মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুরক্ষা নষ্ট হয় না।  টুফ্টস মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ চিকিৎসক ডা. গ্যাব্রিয়েলা এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘যেকোনো পণ্য অর্ডার করার পর সেটা প্যাকেটিং হয় এবং এরপর সেই প্যাকেট কুরিয়ারের মাধ্যমে আমাদের কাছে এসে পৌঁছায়। আর এই দীর্ঘ প্রক্রিয়াটির মধ্যে সাধারণত ভাইরাস জীবিত থাকে না।’ এ সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, ‘তবুও আমাদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। কেননা গবেষণায় দেখা গেছে, প্লাস্টিক এবং স্টেনলেস স্টিল-জাত জিনিসপত্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারে করোনাভাইরাস।’ তাই প্যাকেট খোলার আগে সেটিকে জীবাণুমুক্ত করে নেয়া ভালো। এছাড়া প্যাকেট খোলার পরেও আমাদের ভালো করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে।’ 

কেন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির জনস্বাস্থ্য কলেজের মহামরি বিজ্ঞানের অধ্যাপক টারা স্মিথ, অনলাইনে যেকোনো জিনিস কেনার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না বর্তমানে কোনো কিছুই ঝুঁকিমুক্ত! আর তাই কেবলমাত্র জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসই আমাদের কেনা উচিত।’ 

নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শনের বিভাগের নীতিশাস্ত্রের অধ্যাপক জো জনসন কিং বলেন, ‘তবে তার মানে এই নয় যে, আমাদের অনলাইন শপিং বন্ধ করে দেয়া উচিত। কেননা এই পুরো বিষয়টির সাথেও অনেক মানুষের জীবিকা জড়িত আছে। আর তাই জরুরি প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসও অনলাইন থেকে কেনাকাটা করা যেতে পারে।’ 

আর এই করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় মূল কথাটি হলো, আমরা কী কিনছি এবং কোথা থেকে কিনছি, সবকিছুর বিষয়েই বাড়তি সতর্ক থাকা প্রয়োজন। আপনাকে আগে জানতে হবে, ওই প্রতিষ্ঠান প্যাকেটজাত দ্রব্য নিয়মিত পরিষ্কার রাখে কিনা? ডেলিভারি ম্যান কতটা পরিচ্ছন্ন থাকে বা সচেতন। এ সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তবেই অর্ডার দিন। ডেলিভারি ম্যানের স্পর্শ এড়িয়ে চলুন। এক্ষেত্রে আপনি তাকে একটি ঝুড়ির ভেতর পণ্যগুলো রেখে যেতে বলতে পারেন।

Tags: