muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

কাপাসিয়ায় করোনার প্রভাবে পেশা বদল করছে নিন্ম আয়ের মানুষ

করোনারভাইরাসের প্রভাবে সারাদেশে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ব্যপক ক্ষাতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বন্ধ হয়ে গেছে অনেক ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান। বিপাকে পড়ছে নিন্ম আয়ের শ্রমজীবী মানুষ। জীবিকার সন্ধানে পেশা বদল করছে তারা। আগের মতো সড়তে নেই তেমন জনসমাগম। ভাটা পড়েছে ব্যবসায়। লাখ লাখ টাকা ক্ষতির আশঙ্কা করছে পোল্ট্রি ব্যবাসয়ীরা। পরিবহন খাতে দেখা দিয়েছে যাত্রী সংকট। দোকান বন্ধ থাকায় নিরুপায় হয়ে পড়েছে দোকানিরা। মাঝে মাঝে প্রশাসন ও পুলিশের সাথে চোর পুলিশ খেলে দোকান খুলছে তারা। আয় থেকে ব্যায় বেশি হওয়ায় বেশির ভাগ পরিবারে দেখা দিয়েছে অভাব-অনটন। বাধ্য হয়ে পেশা বদল করছে নিন্ম মধ্য আয়ের মানুষ। দোকান ছেড়ে ফুটপাতে মাস্ক বিক্রি করছে, ইজিবাইক ঘরে রেখে বাড়িতে বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছে, সড়কে যাত্রী না থাকায় রিকসা গ্যারেজে দিয়ে মানুষের ধান ক্ষেতে কাজ করছে, আবার কেউ কেউ নিজেস্ব উদ্যোগে সাবজি ক্ষেতে সবজি উৎপাদন করে বাজারে বিক্রি করে অর্থ উপার্জনের পরিকল্পনা করছে।

সরেজমিনে গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদরে দেখা গেছে, প্রায় সকল দোকান বন্ধ। মাঝে মাঝে পুলিশের সাথে লুকোচুরি করে দোকান খোলার চেষ্টা করছে দোকানিরা। ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে ভ্রাম্যমাণ ভাবে মাস্ক বিক্রি করছে। আবার অনেকে নিজের দোকানের সামনে মাস্কের পাসরা সাজিয়ে বসে আছে। করোনার প্রাভাবে ব্যবসায় সংকটে ফুটপাতে বসে মাস্ক বিক্রি করতে হচ্ছে এমন একজন সাইফুল ইসলাম। উপজেলা সদরে তার কাপড়ের দোকন। কিন্তু দোকন খুলতে না পাড়ায় বাহারি মাস্ক নিয়ে বসেছেন নিজের দোকানের সামনে। মাস্ক বিক্রি করে টেনেটুনে চলছে তার সংসার।

উপজেলার বরুন রোড়ে নিয়মিত গাড়ি চালায় অটোরিকসা চালক সোলাইমান হোসেন। গত এক সপ্তাহ ধরে তা বাদ দিয়ে মানুষের বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করছেন সে। যাত্রী থাকাকালীন সময় প্রতিদিন সড়ক থেকে ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা আয় হতো। এখন রাজমিস্ত্রির কাজ করে দৈনিক ৪শ থেকে ৫শ টাকা পায়। তা দিয়ে কোন রকম চলে যায় তার সংসার।

উপজেলার কোটবাজালিয়া গ্রামের নাঈম সরদার, বরুন গ্রামের মাহফুজ, নলগাঁও গ্রামের মাহমুদ, নাসেরা গ্রামের আকবর আলী, কুরুলিয়া গ্রামের খলিল মোল্লা বলেন, এখন বাহিরে বের হতে পারছি না। বোর ধান ক্ষেতে কাজ করছি। ফল মূল বিক্রি করে চলার মতো কোন অবস্থাও নেই। চৈত্র মাস চারদিকে শুধু হাহাকার। সবাই এখন শুধু লোকদেখানো সহযোগিতা করে। আমরা কিছুই পাইনি। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে।

Tags: