muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

দূষিত এই পৃথিবী ছেড়ে যাচ্ছেন তিন নভোচারী!

চারদিকে করোনার চোখ রাঙানি। হাজার হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিদিন মারাও যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। তবে করোনার সঙ্কটেও থেমে নেই মহাকাশ গবেষণা। এবার করোনায় দূষিত এই পৃথিবী ছেড়ে কোয়ারেন্টিনের সব ধরনের বিধিনিষেধ মেনেই বৃহস্পতিবার মহাকাশে পাড়ি দিল একটি আমেরিকান-রাশিয়ান নভোচারী দল। দলটিতে তিন জন সদস্য রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, রাশিয়া পরিচালিত কাজাখস্তানের বাইকোনূর রকেটবন্দর থেকে সোয়ূজ এমএস-১৬-এ চড়ে দুপুর ১.৩০ মিনিটের নির্ধারিত সময়ে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের উদ্দেশে রওনা দেন নাসার নভোচর ক্রিস ক্যাসিডি এবং রসকসমোসের দুই মহাকাশচারী অ্যানাতোলি ইভানিশিন ও ইভান ভ্যাগনার। রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা ট্রেনিং চলাকালীন ও মহাকাশ যাত্রার পূর্বে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করেন করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে।

ক্যাসিডি ও ইভানিশিনের জন্য এই যাত্রা তৃতীয় হলেও ভ্যাগনারের এটিই প্রথম মহাকাশযাত্রা, স্বভাবতই উত্তেজিত ভ্যাগনার। বর্তমানে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন পরিচালনার দায়িত্বে আছেন রাশিয়ার ওলেগ স্ক্রীপোচকা এবং নাসার মহাকাশচারী জেসিকা মেইর ও অ্যান্ড্রু মর্গ্যান, যাদের ১৭ এপ্রিলে পৃথিবীর মাটিতে ফিরে আসার কথা। 

এর আগে বুধবার সাংবাদিকদের উদ্দেশে একটি ভিডিও বার্তায় ক্রিস ক্যাসিডি জানান, গত একমাস ধরে গৃহবন্দি থাকায় সকলে একদম সুস্থ এবং সুরক্ষার শেষধাপ হিসেবেই মহাকাশ যাত্রার পূর্বে সাংবাদিক বৈঠক বাতিল হয়েছে। কম্যান্ডার ইভানিশিনের কথায় জানা গেছে যে প্রত্যেক নভোচর অতিরিক্ত সুরক্ষার মধ্যে রয়েছেন। 

রসকসমোস বর্তমানে এমন একটি বৃহৎ সংস্থা যা নভোচারী ও মহাকাশযাত্রার সব রকম রকেট ও সামগ্রী প্রস্তুত করে। প্রায় ২ লক্ষ কর্মচারীর এই সংস্থার কর্মকর্তা দিমিত্রি রগোজিন জানান, এই সপ্তাহের শুরুতে রসকসমোসের রাজ্য দপ্তরের ৯ কর্মী করোনা আক্রান্ত হিসেবে ধরা পড়ার পরই সংস্থা অতিরিক্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা করে। মহাকাশযাত্রার পূর্বে সাংবাদিক বৈঠক হোক বা পরিজনদের সঙ্গে দেখা, সুরক্ষার ঘেরাটোপে নিষিদ্ধ সবকিছুই।

Tags: