muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

করোনাকালে বাড়ি ফিরতে যাওয়া নারীকে ধর্ষণ

সারাদেশ যখন অদৃশ্য শত্রু কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের থেকে নিজেকে তথা পরিবার সমাজ দেশের মানুষকে নিরাপদ রাখতে প্রাণপণে যুদ্ধ করছে। আর এই হোম কোয়ারেন্টাইন লকডাউন সামাজিক দুরত্ব সব কিছুকে উপেক্ষা করে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় কিছু নরপশু আদিম উন্মত্ততায় মেতে মেয়ের বাসা থেকে বাড়ি ফেরা এক নারী (৪৪) কে ধর্ষণ করেছে। তাঁকে রিক্সা ভ্যান থেকে নামিয়ে সড়কের পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর এ ধরনের ঘটনাটি ঘটে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা লক্ষীগঞ্জ এলাকার কমুরিয়ারচর নামক স্থানে। ঘটনার পর ধর্ষিতার সনাক্ত করা শহীদ মিয়া(৩০) নামে একজনকে আটক করেছে এলাকাবাসি। এ ঘটনায় চারজনকে অভিযুক্ত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা হয়েছে।

স্থানীয় সুত্র ও পুলিশ জানায়, ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বাড়ি তাড়াইল উপজেলায়।করোনাকালে চলমান অঘোষিত লকডাউনের আগে টঙ্গীতে থাকা মেয়ের বাসায় আটকা পড়েছিলেন।

থানায় পুলিশের হেফাজতে থাকা ওই নারী জানান, চারপাশে লকডাউন থাকায় তিনি অনেক চেষ্টা করেও গ্রামের বাড়ি যেতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার তিনি মেয়ের বাসা থেকে সকালে রওনা হন বাড়ির উদ্দ্যেশে। কখনো হেটে আবার কখনো কখনো অটো-সিএনজি করে ময়মনসিংহ পর্যন্ত আসেন। এ সময় সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। পরে তিনি আবারও হেটে রওনা হন। এমন সময় একটি ইজিবাইক যোগে ঈশ্বরগঞ্জ সদরে আসেন। সেখান থেকে অন্য এক কিশোরের সাথে একটি রিক্সা ভ্যানে চড়েন নান্দাইল চৌরাস্তা যাওয়ার উদ্দ্যেশে সেখানেই স্বামী অপেক্ষায় ছিলেন তাঁকে নিয়ে যেতে। এমতাবস্থায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ সড়কের লক্ষীগঞ্জ নামক বাসস্ট্যান্ডে আসতেই পথরোধ করে ৪/৫জন ব্যক্তি। তারা তাঁকে জোরপূর্বক ধরে কিছু দূরে সড়কের পাশে একটি জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে একজন ধর্ষণ করে চলে যায়। পরে পালাক্রমে অন্যরা আসতে থাকলে চিৎকার দেন। এ অবস্থায় সকলেই দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরে লক্ষীগঞ্জ বাজারে এসে স্থানীয় চেয়ারম্যানকে ঘটনা জানালে তিনি অভিযুক্তদের বর্ণনা মতে চিনতে পেরে পুলিশে খবর দেন। এর আগেই ধর্ষিতা নারীর দেখানো মতে শহীদ নামে একজনকে আটক করে। পরে সুজনের স্বীকারোক্তিতে আরো তিনজনের নাম পাওয়া যায়। তারা তাঁর (নারী) কাছে থাকা নগদ টাকা মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ধর্ষণে অভিযুক্ত সুজন হচ্ছে স্থানীয় কুমুরিয়ার চরের আব্দুস ছমেদের ছেলে। অন্য তিনজন হলো মোজাটিয়া গ্রামের মোতালেবের ছেলে শহীদ মিয়া, একই গ্রামের ওয়াহেদের ছেলে লাল মিয়া (৩৭) ও মো. মোমেনের ছেলে শফিক মিয়া (৩৫)।

স্থানীয় মাইজবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ জানান, ধর্ষণের পর ওই নারীর বর্ণনা মতে সকলকেই চিহ্নিত করা গেছে। তারা সকলেই মাদকাসক্ত ছাড়াও বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। এদের গ্রেফতারে সহযোগিতা করা হবে।

Tags: