বরগুনার বেতাগীতে ডায়রিয়ায় প্রকোপে নতুন করে খাদিজা বেগম (৫০) ও আনোয়ারা বেগম (৫০) নামে আরও দুইজন নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত এ সপ্তাহে ডায়রিয়ায় মারা গেছেন তিন জন।
বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে মোট ১৩০ জন ডায়রিয়া রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০২ জন । বর্তমানে ভর্তি আছেন ২৮ জন। প্রতিদিনই ২০-২৫ জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। হাসপাতালে খাবার স্যালাইনের সংকট না থাকলেও কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
এদিকে হাসপাতালে কলেরা স্যালাইনের সংকট দেখা দিলে তাৎক্ষনিকভাবে সিভিল সার্জন স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ৫০০ ব্যাগ স্যালাইন সরবরাহ করে প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দেন। এরপরই বুধবার (২৯ এপ্রিল) কলেরা স্যালাইনের সংকট নিরসনে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ৫২ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
বরগুনার বেতাগী উপজেলার দেড় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসার একটি বড় কেন্দ্র বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে সাম্প্রতি একজন মেডিকেল অফিসার করোনা পজিটিভ হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে পুরো উপজেলাজুড়ে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আতঙ্কে অনেকেই যখন হাসপাতাল বিমুখ ঠিক তখনই করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে হঠাৎ শুরু হয়েছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ। অনেকে করোনা আতঙ্কে হাসপাতালে না এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন বাড়িতে বসে। করোনার ভিতর ডায়েরিয়া রোগীর সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা
বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. তেন মং বলেন, ঋতু পরিবর্তনের ফলে গত কয়েকদিন ধরে লোকজন ডায়রিয়া ও পেটের পীড়াজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। খাবার স্যালইনের সংকট না থাকলেও কলেরা স্যালাইনের সংকট রয়েছে। তবে সে সংকট বিকল্প উপায়ে সমাধান করা হয়েছে।