muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১০ নির্দেশনা

করোনাভাইরাস রোধে শর্তসাপেক্ষে সরকারের সাধারণ ছুটিতে আগামী ১০ মে (রোববার) থেকে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য, হাটবাজার, দোকানপাট খোলা রাখাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করতে ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (০৫ মে) মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক অধিশাখা-২ থেকে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড মহাপরিচালক ও আনসার-ভিডিপির মহাপরিচালককে তা বাস্তবায়নের জন্য বলা হয়েছে।

আদেশে বলা হয়, সরকার দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।  এর পরিপ্রেক্ষিতে নিম্নোক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হলো।

১০টি নির্দেশনা হলো:

১. হাটবাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার/ফেরিওয়ালা/অস্থায়ী দোকান বসতে দেওয়া যাবে না।

২. প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরিধান ছাড়া কোনো ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না।  সব বিক্রেতা/দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ডগ্লাভস পরিধান করতে হবে।

৩. প্রতিটি শপিংমল/বিপনি-বিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুঝুঁকি’ সম্বলিত ব্যানার টানাতে হবে।

৪. আন্তঃজেলা, আন্তঃউপজেলা যোগাযোগ/জনগণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অর্থাৎ এক উপজেলার মানুষ অন্য উপজেলায়, এক জেলার মানুষ অন্য জেলায় চলাচল করতে পারবে না।

৫. রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাড়ির বাইরে আসা যাবে না।

৬. আগের মতো জরুরি পরিষেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যসামগ্রী, রপ্তানি সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি পরিবহন কাজে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে।

৭. সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে।

৮. আসন্ন ঈদের ছুটিতে সবাইকে নিজ নিজ এলাকা/কর্মস্থলে থাকতে হবে। আন্তঃজেলা/উপজেলা/বাড়িতে যাওয়ার ভ্রমণ থেকে নিবৃত্ত করতে হবে।

৯. আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

১০. প্রতিটি মেট্টোপলিটন এলাকা, জেলা শহরে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা আলোচনা করে ক্রেতা/বিক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রয়োজনীয় জোন ভাগ করে নেবেন।

Tags: