আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারের সমালোচনার নামে বিএনপি রাজনৈতিক হীন কৌশল অবলম্বন করেছে।
রবিবার সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আয়োজিত আনলাইন সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোন ঘটনার প্রকৃত সত্য তুলে না ধরে তা টুইস্ট করে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা হিসাবে প্রচার করাও অপরাধ। সত্যতা যাচাই না করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপকৌশল কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘ত্রাণ বিতরণের কাজে অস্বচ্ছ কিছু হলে প্রকৃত সত্য যে কেউ তুলে ধরতে পারে। কিন্তু সেটিকে টুইস্ট করে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা হিসেবে প্রচার করাটা নিশ্চয়ই অপরাধের শামিল।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে সত্যতা যাচাই না করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপকৌশল কিছুতেই সমর্থনযোগ্য নয়।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগের অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, মহামারী তথা দুর্যোগের এই সময় প্রয়োজন সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস। এ কথা আমরা বারবার বলেছি। আমরা একথাও বলেছি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যাতে অপপ্রয়োগ না হয় সে ব্যাপারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সতর্ক থাকবে। যারা অপপ্রয়োগ করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ত্রাণ চুরির অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধির সংখ্যা ৬১ হাজার ৫৬৯ জন। এদের সবার বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধী দলীয় লোক হলেও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
করোনার কারণে প্রবাসী বাঙালিরা কর্মহীন হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বে প্রায় এক কোটি ২০ লাখ প্রবাসী বাঙালি রয়েছে। এদের অধিকাংশই কর্মহীন হয়ে পড়েছে এবং অনেকেই ঝুঁকিতে রয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে বিভিন্ন দেশে আমাদের দূতাবাসগুলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।