muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না, গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি আর বাড়ছে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সীমিত আকারে বাস, রেল ও লঞ্চের মতো গণপরিবহন চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।

এর আগে গণপরিবহনও বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন।

তিনি প্রথমে জানিয়েছেন, ৩০শে মে’র পর থেকে থেকে সাধারণ ছুটি আর বাড়ানো হবে না। তবে ৩১শে মে থেকে ১৫ই জুন পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে হবে। এই সময়ে সব ধরণের বাস, রেল ও লঞ্চসহ সবধরণের গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে বিমান সংস্থাগুলো বিমান চলাচল চালু করতে পারবে।

তবে পরবর্তীতে তিনি জানান, সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী সম্মতি দিয়েছেন। তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাস, লঞ্চ ও রেল চলাচল ৩১ মে থেকেই চালু করা হবে।

তিনি বলছেন,” সীমিত বলতে আমরা বোঝাচ্ছি, গণপরিবহন চললেও তা নিয়ন্ত্রিতভাবে চলবে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।”

তবে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ই জুন পর্যন্ত ছুটি থাকবে। তবে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনলাইন ক্লাস ও দূরশিক্ষণ চলবে।

গণপরিবহন বলতে বাস, রেল ও লঞ্চ চলাচল বোঝানো হচ্ছে। পাশাপাশি বিমান চলাচল চালুরও অনুমতি দেয়া হয়েছে।

”স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেসরকারি বিমান সংস্থাগুলো নিজ ব্যবস্থাপনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিমান চলাচল শুরু করতে পারবে। ব্যক্তিগত পরিবহন চলবে। তবে একজেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াতের ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করা হবে। জেলায় প্রবেশ বা বর্হিগমন পথে চেকপোস্ট থাকবে।” জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

”বয়স্ক, অসুস্থ ও গর্ভবর্তী মহিলারা কর্মস্থলে যোগদান থেকে বিরত থাকবেন। অন্যান্য কর্মকর্তারা ১৩টি স্বাস্থ্যবিধি মেনে অফিস করবেন।” তিনি বলছেন।

কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য কোন অফিস সীমিত আকারে পরিবহন চালু করবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত ওই প্রতিষ্ঠান নেবে। সভা-সমাবেশ বা গণজমায়েত বন্ধ থাকবে। মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ ও ধর্মীয় প্রার্থনা চলবে।

তিনি জানান, রাত আটটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত মানুষজনের বাইরে বের হওয়ার ব্যাপারে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল, সেটা বহাল থাকবে। এই সময়ে অকারণে বাইরে বের হলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে।

এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের দোকানপাট সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখতে পারবে।

অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখতে সীমিত পরিসরে সব অফিস খোলার এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান। এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হবে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে ২৬শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। পরবর্তীতে ছয় দফা বাড়িয়ে এই ছুটি শেষ হচ্ছে ৩০শে মে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বাংলাদেশে ২৬শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি চলছে। সাত দফা বাড়িয়ে এই ছুটি শেষ হচ্ছে ৩০শে মে।

সাধারণ ছুটির সময় গণপরিবহন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সব ধরণের অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবা সীমিতভাবে ব্যাংকসহ কিছু অফিস খোলা ছিল। পরবর্তীতে কিছু সরকারি দপ্তর ও গার্মেন্ট প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হয়।

Tags: