muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

দেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা দুই-তৃতীয়াংশ

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুননেসা ইন্দিরা বলেছেন, দেশে এখন কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ, যাদের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। গত এক দশকে দারিদ্র্যের হার ২০.৫০ শতাংশে ও উচ্চ দারিদ্র্যের হার ১০.৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে কর্মক্ষম মানুষের এই শ্রেণি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

শনিবার (১১ জুলাই) ডিজিটাল প্লাটফর্মে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস-২০২০’ উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগ এবং ইউনাইটেড নেশনস্ পপুলেশন ফান্ডের (ইউএনএফপিএ) যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বাংলাদেশ দ্রুতগতিতে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করছে। বিশ্বের উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম দিকে। বাংলাদেশের এই অগ্রগতির পেছনে বড় অবদান রয়েছে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের।

কোভিড- ১৯ এর কারণে দিবসটি ভিন্নভাবে উদযাপিত হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, এ বছর ৩১তম বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে ‘মহামারি কোভিড-১৯ প্রতিরোধ করি, নারী ও কিশোরীর সুস্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করি’ প্রতিপাদ্য নিয়ে। অত্যন্ত সময়োপযোগী প্রতিপাদ্য নিয়ে জনসংখ্যার উন্নয়ন ও বিশ্বব্যাপী সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে দিবসটি গুরুত্বপূর্ণ রাখবে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন পর্বে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুমের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আকতারুজ্জামান সূচনা বক্তব্য রাখেন।  অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউএনএফপিএ’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ ড. আশা তরকেলশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম।

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুননেসা ইন্দিরা তার বক্তব্যে আরও বলেন, বিশ্বের ৯০ ভাগ নারী অর্থনীতির অপ্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে কাজ করে যেখানে চাকরির নিশ্চয়তা কম।  কোভিড- ১৯ তাদের জন্য স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে বড় ঝুঁকি তৈরি করেছে।  করোনা মহামারির প্রভাবে অর্থনীতি যে ঝুঁকিতে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতিতে গতিশিলতা ফিরিয়ে আনতে এক লাখ কোটি টাকার বেশি ১৯টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এসব প্রণোদনা থেকে আমাদের দেশের নারী উদ্যোক্তা ও কর্মজীবী নারীরা সরাসরি উপকৃত হবেন।

Tags: