muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

গ্রাম্য সালিশে অন্ত:সত্ত্বা কিশোরীর বিয়ে, থানায় মামলা

বগুড়ার নন্দীগ্রামে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের পর কিশোরী (১৭) আট মাসের অন্ত:সত্ত্বা হওয়ার পর গ্রাম্য সালিশে ধর্ষকের সাথে বিয়ে দিয়ে সন্তান (ভ্রুণ) নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

উপজেলার দারিয়াপুর তালপুকুর এলাকায় এঘটনা ঘটেছে। কিশোরী বাদী হয়ে গত রোববার রাতে ধর্ষক রফিকুল ইসলামকে আসামী করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করে। ওই রাতেই অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে দেওতা গ্রামের মৃত নাদিম উদ্দিনের ছেলে।

ধর্ষিতার পরিবার, থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থালতামাজগ্রাম ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের ওই কিশোরীর বাড়ির পাশে কয়েকটি পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছিল লম্পট রফিকুল ইসলাম। এই সুযোগে কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের ফাঁদপাতে রফিকুল। বিয়ের প্রলোভন দিয়ে কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। একপর্যায়ে কিশোরী ৮ মাসের অন্ত:সত্ত্বা হলে রফিকুলকে বারবার বিয়ের কথা বলার পরেও তালবাহানা করে। কিশোরী অন্ত:সত্ত্বার ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে গ্রাম্য মোড়লরা সালিশ বসায়। কিশোরীর গর্ভের সন্তান (ভ্রুণ) নষ্ট করলে ধর্ষকের সাথে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয় মোড়লরা। বিয়ের পর সিদ্ধান্ত হবে জানায় কিশোরীর পরিবার।

গ্রাম্য মোড়লদের যোগসাজসে কৌশলে কয়েকমাস পূর্বের তারিখযুক্ত একটি কথিত
এফিডেফিট বানিয়ে বিয়ের কাগজ দেয় কিশোরীকে। না বুঝেই সেই এফিডেফিটে টিপসহি
দেয় কিশোরীর বাবা। গত ১৬ জুলাই অন্ত:সত্ত্বা কিশোরীর ভ্রুন নষ্ট করে। সংবাদকর্মীদের হস্তক্ষেপে বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ায়। অবশেষে গত রোববার রাতে ধর্ষক রফিকুল ইসলামকে আসামী করে মামলা করে ধর্ষিতা কিশোরী। ওই রাতেই রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

থানার ওসি শওকত কবির বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতার করে বগুড়া কোর্ট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tags: