বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে ব্যর্থ হওয়ার কারণেই জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশের মানুষকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছেন।
স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক শাহজাহান সিরাজের স্মরণে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন-বিএনআরসি’ কর্তৃক বুধবার দুপুরে আয়োজিত এক ভার্চুয়াল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭১ সালে যখন রাজনৈতিক নেতারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলেন, না তখন এ দেশকে স্বাধীন করার জন্য জিয়াউর রহমান (সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর) স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।’
‘কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজ শুধু রাজনৈতিক কারণে ইতিহাসকে বিকৃত করা হচ্ছে। স্বাধীনতার ঘোষক সেই মহান নেতাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘শুধু রাজনৈতিকভাবে একটি দলকে স্বাধীনতার ধারক-বাহক হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখা অন্যান্য জাতীয় বীরদের ইতিহাস আড়াল করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, পাকিস্তান ভাগ হওয়ার পর যারা স্বাধীন বাংলার জন্য লড়াই করেছেন, আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন, তারা মূলত বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকার যেন ফিরে পায় সে জন্যই ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছেন।
‘তারা এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই এদেশকে স্বাধীন করেছেন। তারা আজকের এ বাংলাদেশকে দেখতে চাননি’ যোগ করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন, তারা স্বাধীনতার পক্ষের দল হিসেবে নিজেদের দাবি করলেও অত্যন্ত সচেতনভাবে তারা এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।’
এ সময় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমরা যদি সত্যিকার অর্থে আমাদের পূর্বপুরুষদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই, তবে একাত্তরের মতো একটি জাতীয় ঐক্য তৈরি করতে হবে। সেই ঐক্যের মাধ্যমেই এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার ও অন্যান্য অধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল আলোচনায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।