muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

সাহেদকে নিয়ে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্তে র‌্যাব

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শাখরা কোমরপুর সীমান্তে নেওয়া হয়। 

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে র‌্যাব সদস্যদের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ‌্যে একটি সিলভার কালার মাইক্রোবাসে করে তাকে খুলনা র‌্যাব-৬ এর কার্যালয় থেকে সাতক্ষীরায় আনা হয়। 

পরে তাকে দেবহাটার লাবণ‌্যবতী ব্রিজ এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। মাইক্রোবাস থেকে তাকে ব্রিজের পাশে নামানো হয়। প্রায় আধা ঘণ্টা ধরে তাকে নিয়ে ওই এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন র‌্যাব সদস্যরা। একইসাথে জিজ্ঞাসাবাদও চলে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাব-৬ সাতক্ষীরা ক্যাম্পের এসআই রেজাউল ইসলাম এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

এসআই রেজাউল ইসলাম জানান, গত (১৫ জুলাই) সাহেদ করিমকে লাবণ‌্যবতী খাল দিয়েই ভারতে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করেছিলেন। র‌্যাব সদস্যরা তাকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রিজের নিচ থেকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে র‌্যাব হেড কোয়ার্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। 

র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি বজলুর রশীদ বলেন, ‘যেখান থেকে সাহেদ করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্য সেখানে নেওয়ার পর তিনি গুরুত্বপূর্ণ তথ‌্য দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখনই প্রকাশ করা সম্ভব নয়। আগামী ৫ আগস্ট রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে।’

তিনি জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাহেদকে আবার খুলনা র‌্যাব-৬ এর কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে রেখেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। আজ তার রিমান্ডের চতুর্থ দিন ছিলো। 

এর আগে (১৫ জুলাই) বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর সীমান্তের লাবণ‌্যবতী নদীর ওপর নির্মিত ব্রেইলি ব্রিজ এর নিচ থেকে সাহেদকে বোরখা পরিহিত অবস্থায় গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।  

ওই দিন রাতে র‌্যাব-৬ এর সিপিসি-১ এর ডিএডি নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৯৭৮ সালের আর্মস অ্যাক্টের ১৯-এ উপধারা এবং ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ এর বি/এ ধারায় দেবহাটা থানায় একটি মামলা (৫নং) করেন। মামলায় সাহেদ করিমসহ তিন জনকে আসামি করা হয়। 

সাতক্ষীরার দেবহাটা থানায় দায়েরকৃত মামলায় গত ২৬ জুলাই ভার্চুয়াল আদালতে সাহেদ করিমের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে র‌্যাব। সাতক্ষীরার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার রায় রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুর করেন।

Tags: