muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

ভ্যাকসিনকে অবশ্যই বৈশ্বিক পণ্য করতে হবে : ডব্লিউএইচও

ভবিষ্যতে যেকোনো করোনার ভ্যাকসিন বাজারজাত করার বিষয়ে বৈশ্বিক সংহতির আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। গতকাল রোববার বার্লিনে তিন দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড হেলথ সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভিডিও বক্তব্যে সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস এ আহ্বান জানান। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র উপায় সম্মিলিতভাবে কাজ এবং দরিদ্র দেশগুলোর ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করা।

আজ সোমবার বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা মহামারি থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য বৈশ্বিক ঐক্যের ওপর জোর দেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। এ প্রসঙ্গে তিনি দরিদ্র দেশগুলোর টিকার ন্যায্য প্রাপ্তি নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, টিকার জাতীয়তাবাদ মহামারিকে দীর্ঘায়িত করবে, কমাবে না।’

সংস্থাটির মহাপরিচালক বলেন, ‘এটা স্বাভাবিক যে দেশগুলো প্রথমেই তাদের নিজেদের নাগরিকদের রক্ষা করতে চায়। কিন্তু যখন আমরা একটি কার্যকর টিকা পাব, আমাদের অবশ্যই তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে হবে। আর তা করার সর্বোত্তম উপায় হলো কিছু দেশের সব মানুষকে টিকা দেওয়ার চেয়ে সব দেশের কিছু মানুষকে টিকা দেওয়া।’

ভ্যাকসিন জাতীয়করণ করলে মহামারি না কমে বরং তা আরও দীর্ঘায়িত হবে। ভ্যাকসিনকে অবশ্যই বৈশ্বিক পণ্যে পরিণত করতে হবে, যোগ করেন তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।

বিশ্বে করোনার ভ্যাকসিন তৈরিতে বিজ্ঞানীরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বেশকিছু ভ্যাকসিন বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে রয়েছে। এর মধ্যে ১০টি ভ্যাকসিন ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের একেবারে চূড়ান্ত ধাপে রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন ও জাপানসহ আরও কিছু দেশ ইতোমধ্যে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে। ভ্যাকসিন পাওয়ার দৌড়ে দরিদ্র দেশগুলো পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দরিদ্র দেশগুলোর ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করতে কোভ্যাক্স নামে পরিচিত আন্তর্জাতিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। কিন্তু প্রকল্পটি তহবিল সংকটে ভুগছে।

Tags: