গণ টিকাদান কর্মসূচির জন্য চীন নিজেদের কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে। এর আগে দেশটিতে জরুরিভাবে টিকার ব্যবহার করা হলেও এই প্রথম সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য টিকার অনুমোদন দেয়া হল।
সিনোফার্ম তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশ করে একদিন আগেই জানায়, তাদের টিকা ৭৯.৩৪ শতাংশ কার্যকর।
সম্প্রতি ব্রিটেন দুটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে। রাশিয়া দিয়েছে একটি। তবে কোনোটিই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে অনুমোদন পায়নি। তবে আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি বৈশ্বিক অনুমোদন মিলবে।
এর আগে চলতি মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) প্রথমবারের মতো চীনের এ টিকা নিজেদের দেশে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
চীন এমন এক সময় সিনোফার্মের টিকার অনুমোদন দিল, যখন এর এক দিন আগে যুক্তরাজ্য কভিডের দ্বিতীয় টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। দেশটিতে করোনার নতুন ধরনের (স্ট্রেইন) সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার এ টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয় দেশটি।
ব্রিটেন আশা করছে, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন করোনা পরিস্থিতিতে বড় পরিবর্তন আনবে। কারণ এটির দাম তুলনামূলক কম এবং সহজে বেশি-বেশি তৈরি করা যায়।
শুধু তাই নয়; এটি সংরক্ষণ করাও সহজ। ফাইজারের ভ্যাকসিনের জন্য যেখানে আলট্রা কোল্ড স্টোরেজ দরকার পড়ে, সেখানে এই ভ্যাকসিনের জন্য ‘সাধারণ উপযুক্ত’ ফ্রিজ হলেই চলে।
বিবিসি বলছে, ঠিক এই কারণে দ্রুততম সময়ে টিকাদান কর্মসূচি এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে।