muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

খেলার খবর

টি-টোয়েন্টিতেও সেই একই গল্প

ফরম্যাট বদলালেও নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দলের গল্পটা বদলালো না। ছন্নছাড়া বোলিংয়ের পর দিশেহারা ব্যাটিং, ফলাফল যা হওয়ার তাই। স্বাগতিকদের বিপক্ষে রীতিমতো বিধ্বস্ত টাইগাররা।

রবিবার হ্যামিল্টনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ৬৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

২১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে থেমে যায় সফরকারীরা।

এর আগে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যা একটু ভালো খেলে দল। তবে অন্য দুই ম্যাচে হারতে হয় বাজে ভাবে।

টি-টোয়েন্টি সিরিজে অবশ্য সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছিলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু আদতে মাঠে সেটা করতে পারল না তার দল।

৪৪ রানে ৪ উইকেটে হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশকে এদিন প্রতিরোধটাও গড়তে দেননি ইশ সোধি। অষ্টম ওভারে পর পর দুই বলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (১১) ও মেহেদি হাসানকে (০) বোল্ড করেন। তাতে ৫৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ।

আফিফ হোসেন ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যা একটু ব্যাট করলেন। একবার জীবন পেয়ে আফিফ ৩৩ বলে ৪৫ রান করেন ৫ চার ও ১ ছক্কায়। সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমের ব্যাট থেকে আসে ১৮ বলে ২৭ রান।

কিউইদের পক্ষে সোধি ২৮ রান খরচায় সর্বাধিক ৪ উইকেট নেন।

ওয়ানডে সিরিজ খেলে তামিম ইকবাল দেশের বিমান ধরেন। সফরের শুরু থেকেই ছিলেন না সাকিব আল হাসান। আর ইনজুরির কারণে মুশফিকুর রহিম এ ম্যাচে মাঠে নামতে পারেনি।

নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে এই ত্রয়ীকে ছাড়া প্রথম খেলতে নামতে হয় টাইগারদের। অভিষেক হয় বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ ও বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের। মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে তারুণ্য নির্ভর একটা দলকে দেখা যায় মাঠে।

অবশ্য নিউজিল্যান্ডও ছিল তারুণ্য নির্ভর। তাদের অনেক বড় তারকাই টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে নেই।

বোলিংয়ে দুর্দান্ত শুরুই পেয়েছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই অভিষিক্ত নাসুম আহমেদের ঘূর্ণিতে মেলে উইকেট। কিন্তু সেই ভালোটা ধরে রাখতে পারেনি অতিথিরা। ধাক্কা সামলে ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়াংয়ের ব্যাটে বড় পুঁজি গড়ে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। কনওয়ে ৫২ বলে অপরাজিত ৯২ ও ইয়াং ৩০ বলে ৫৩ রান করেন।

অভিষিক্ত নাসুম ইনিংসের প্রথম ওভারেই সাফল্য পান। ওভারের ষষ্ঠ বলে তুলে নেন ফিন অ্যালেনকে (০)। আরেক ওপেনার মার্টিন গাপটিলের সঙ্গে যোগ দিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থামেন কনওয়ে। পাওয়ার প্লেতে ৪৮ রান তুলে দলটি।

সপ্তম ওভারে গাপটিলকেও তুলে নেন নামুস। ২৭ বলে ৩৫ রান করে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ হয়ে ফিরে যান তিনি। তবে কিউইদের খেলায় ছন্দ পতন হয়নি মোটেও। কনওয়ে ও ইয়াং খেলে গেলেন সাবলীল। কনওয়ে অবশ্য একবার জীবন পান নাসুমের বলে। বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ নিতে গিয়ে সীমানা দড়িতে পা ছোঁয়ান শরিফুল।

ইয়ান মেহেদির শিকার হয়ে ফিরলেও কনওয়েকে ফেরানো যায়নি। শেষে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর। গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে শেষ ২০ বলে দুজন যোগ করেন ৫২ রান। ফিলিপস ১০ বলে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি মঙ্গলবার, নেপিয়ারে বাংলাদেশ সময় বেলা ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ‍তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ ১ এপ্রিল।

Tags: