muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

বিধিনিষেধে ফাঁকা কিশোরগঞ্জ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধে ফাঁকা কিশোরগঞ্জ। কিছু ওষুধ ও মুদি দোকান ছাড়া জেলা শহরের সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে এ বিধিনিষেধ। চলবে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত। সকাল থেকেই প্রায় জনশূন্য পুরো শহর। গণপরিবহন নেই বললেই চলে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না।

তবুও বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অহেতুক ঘর থেকে বেরোলেই পড়তে হবে জরিমানার কবলে।

 

এদিকে সকাল থেকেই শহরের প্রবেশপথগুলোতে চেকপোস্ট বসিয়েছে জেলা পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। টহল দিচ্ছেন পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দল। বিধি ভেঙে রাস্তায় বেরোলেই জেরা করছে পুলিশ।

কঠোর এ নির্দেশনার কারণে বন্ধ রয়েছে নগরীর সব অফিস-আদালত। তবে চালু রয়েছে জরুরি সেবা কার্যক্রম। নিজস্ব পরিবহনে চলাচল করছেন জরুরি সেবার কর্মীরা।

 

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে তারা কাজ করছেন।

বিধিনিষেধ অমান্য করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ সময় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘরের বাইরে বের না হবার অনুরোধ জানান তিনি।

এদিকে কিশোরগঞ্জে প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা। সর্বশেষ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে প্রকাশিত রিপোর্টে জেলায় নতুন করে ২৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে একজনের। ফলে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩ জনে। এছাড়া নতুন করে ১৩ জন করোনাভাইরাস মুক্ত হয়ে সুস্থ হয়েছেন।

নতুন করোনা শনাক্ত হওয়া ২৮ জনের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় সর্বোচ্চ ১০ জন শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলায় ২ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলায় ২ জন, কটিয়াদী উপজেলায় ২ জন, ভৈরব উপজেলায় ৪ জন, নিকলী উপজেলায় ১ জন, বাজিতপুর উপজেলায় ৪ জন, ইটনা উপজেলায় ১ জন এবং অষ্টগ্রাম উপজেলায় ১ জন শনাক্ত হয়েছেন।

বর্তমানে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ৪১৬ জন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন হাসপাতাল ও ৩৮২ জন হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

অন্যদিকে গত ৭ই ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) পর্যন্ত মোট ৭৪ হাজার ৮৬৮ জন প্রথম ডোজ এবং গত ছয়দিনে ১১ হাজার ৭০৭ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন।

Tags: