muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

পেগাসাস কাণ্ডের পরও ভারত-ইসরাইল মধুর সম্পর্ক অব্যাহত

মাস দুয়েক আগেই ইসরাইলের তৈরি স্পাইওয়্যার পেগাসাস ব্যবহার করে ভারতের বিরোধী দলের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ, আন্দোলনকর্মী, সরকারি কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের ফোনে আড়িপাতার খবর সামনে এসেছিল। ধারণা করা হচ্ছিল এরপর ভারত-ইসরাইলের সুসম্পর্কে হয়তো কিছুটা চিড় ধরবে।

কিন্তু সেসব ধারণা ভুল প্রমাণ করে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য বাসবরাজ সোমাপ্পা বোমাই জানিয়েছেন, বিদেশি সংবাদমাধ্যমের ষড়যন্ত্র করে ভারতের বিরুদ্ধে এই ধরনের ভুল তথ্য প্রচার করেছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছে। এখন তাদের চোখ ভারতের দিকে।

যদিও পেগাসাস কাণ্ডের পর ভারতের বিরোধী দলের রাজনীতিবিদরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়া (পিসিআই) এই ঘটনাকে ভারতীয় গণতন্ত্রের উপর অভূতপূর্ব আক্রমণ বলে উল্লেখ করেছেন।

তবে ইসরাইলি প্রতিষ্ঠানের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ভারতের ক্ষমতাসীন দলের ব্যবহার করাটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে দেশ দুটির মধ্যে শক্তিশালী কৌশলগত, সামরিক এবং প্রযুক্তিগত অংশীদারিত্ব গড়ে উঠেছে। এছাড়া বিজেপি ও ইসরাইলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একটি আদর্শিক জোট রয়েছে।

ভারত-ইসরাইলের মধ্যকার আজকের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অবশ্য সব সময় এমন ছিল না। ১৯৩৮ সালে ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধি ইসরাইল নয়, বরং ফিলিস্তিনিদের পক্ষেই কথা বলেছিলেন।

তবে স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু ইহুদি জনগোষ্ঠীর প্রতি তার সহানুভূতি প্রকাশ করেছিলেন।

অবশ্য আজকে ভারত-ইসরাইলের মধ্যকার সুসম্পর্ক কোনো একক বিষয়ে আটকে নেই। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুই দেশের মধ্যে প্রায় সোয়া ৪ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়েছে। ইসরাইলে বাড়ছে ভারতীয় সফটওয়ার কোম্পানিগুলোর উপস্থিতি। ২০০৬ সালে কৃষিক্ষেত্রে সমন্বিত সহযোগিতার জন্য একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে দুই দেশ। ওই চুক্তির পঞ্চম পর্যায় এখনো কার্যকরী হয়েছে। ভারত এবং ইসরাইল ১৯৯৩ সালে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহযোগিতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ২০১৭ সালে দুদেশের মধ্যকার সহযোগিতা আরও জোরদার করতে একটি তহবিল গঠন করা হয়। ওই তহবিলের আওতায় ১১টি প্রকল্প চলমান রয়েছে।

Tags: