muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

ঢাকা-আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ঋণ দিচ্ছে চীন

প্রকল্প অনুমোদনের প্রায় চার বছর পরে চীনের সঙ্গে ঋণচুক্তি হলো ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পে। রাজধানীর যানজট কমাতে ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সরকার ও চীনা এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে প্রকল্পটির জন্য ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ইআরডি থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

চুক্তির আওতায় চীনা এক্সিম ব্যাংক বাংলাদেশকে নয় হাজার ৪৭২ কোটি টাকা দেবে। চীনা পলিসি প্রিফারেন্সিয়াল বায়ার্স ক্রেডিটের (পিবিসি) আওতায় ঋণ দেবে সংস্থাটি। ইআরডিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী এবং চীনা এক্সিম ব্যাংকের পক্ষে ব্যাংকটির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ঝাং তিয়ানকিন চুক্তিতে সই করেন।

শহরিয়ার কাদের সিদ্দীকি জানান, আনুষ্ঠানিক কোনো চুক্তি হয়নি। চীন চুক্তির কাগজপত্র পাঠিয়েছে। আমরা গত ২৬ অক্টোবর সই করেছি। আজ (বৃহস্পতিবার) সেটির জিও জারি করা হয়েছে।

পিবিসি ঋণচুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের বার্ষিক সুদের হার ২ শতাংশ, ৫ বছর গ্রেস (রেয়াতকাল) পিরিয়ডসহ ২০ বছর মেয়াদী শর্তে চীনা এক্সিম ব্যাংকের এই ঋণের অর্থ দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী আশুলিয়া অংশে যানজট কমে যাবে। এটি এশিয়ান হাইওয়ের এলাইনমেন্টের মধ্যে অবস্থিত। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার সঙ্গে ৩০টি জেলার সংযোগ স্থাপনকারী আব্দুল্লাহপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল চন্দ্রা করিডোরে যানজট কমে যাবে। বিমানবন্দর ইন্টারসেকশন থেকে শুরু হয়ে আব্দুল্লাপুর-আশুলিয়া-বাইপাইল দিয়ে ইপিজেড পর্যন্ত অংশে নির্মাণ করা হবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। মূল উড়ালসড়কটির দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য তৈরি করা হবে ১৬টি র‌্যাম্প বা সংযোগ সড়ক। র‌্যাম্পগুলোর সম্মিলিত দৈর্ঘ্য প্রায় ১০ কিলোমিটার। এ প্রকল্পে উড়ালসড়ক ছাড়াও ১৪ কিলোমিটারের বেশি সড়ক নির্মাণ করা হবে।

পাশাপাশি নবীনগর এলাকায় নির্মাণ করা হবে এক দশমিক ৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার। এছাড়াও দুই দশমিক ৭২ কিলোমিটার সেতু, ৫০০ মিটার ওভারপাস, ইউটিলিটির জন্য ১৮ কিলোমিটার ড্রেনেজ ও ডাক্ট এবং পাঁচটি টোল প্লাজা নির্মাণ করা হবে।

সূত্র জানায়, প্রকল্পের মোট ব্যয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। ৯ হাজার ৪৭২ কোটি দেবে চীন সরকার। বাকি অর্থ খরচ হবে সরকারের নিজস্ব তহবিল হতে। প্রকল্পের কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন।

প্রসঙ্গত, ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার বার্তা নিয়ে ২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং দুই দিনের জন্য ঢাকা সফরে আসেন। সফরকালে ‘স্ট্রেনদেনিং অ্যান্ড প্রোডাকশন ক্যাপাসিটি করপোরেশনের’ আওতায় আনুমানিক ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। ২৭টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য এই এমওইউ সই হয়। এরমধ্যে এ পর্যন্ত ৭ দশমিক ৮০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে ৮টি প্রকল্পের ঋণচুক্তি সাক্ষরিত হয়েছে।

Tags: