muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আইন আদালত

এসআইসহ ৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদাবাজি, চুরি ও মারধরের অভিযোগে সাভার থানার ভাকুর্তার বিট ইনচার্জ পলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহ আলমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। রাফিয়া আক্তার তুলি নামে ওই নারী আজ মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমিদার আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে আগামি ৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন-আওলাদ হোসেন খান, মো. আলাউদ্দিন, মনোয়ারা বেগম, তার দুই ছেলে আমান উল্লাহ ও জামাল হোসেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাফিয়া আক্তার তুলি এবং তার স্বামী আফজাল হোসেন সরকার নালিশী সম্পত্তিসহ ১৭৭ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে মালিক ও দখলদার হন। এরপর ওই সম্পত্তিতে নূরনবী আলী ও ইউনুছ আলী হাওলাদার নামে দুজনকে কেয়ারটেকার নিযুক্ত করেন। তারা বাড়ি দেখভাল ও বসবাস করে আসছিলেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর আসামি আওলাদ হোসেন খানসহ অন্যান্য আসামিরা তুলির বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এতে বাধা দিলে আসামিরা কেয়ারটেকার ইউনুছ আলী হাওলাদারকে মারধর করে। এ ঘটনায় ইউনুস আলী রাতেই সাভার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এর তদন্তভার দেওয়া হয় এসআই শাহ আলমকে।

এরপর গত ২৭ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সাভার থানার ভাকুর্তা বিট ইনচার্জ এসআই শাহ আলম ও দুইজন কনস্টেবলের উপস্থিতেতে আওলাদ হোসেন এবং আলাউদ্দিন কেয়ার টেকারেরর স্ত্রীকে মারধর ও অকথ্য ভাষয় গালিগালাজ করেন। এরপর এসআই শাহআলম ভিকটিমকে বলেন, বাড়ির মালিক রাফিয়া আক্তারকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে ভাকুর্তা বিট অফিসে দেখা করতে।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে তুলির শুভাকাঙ্ক্ষী জাকির হোসেন ভাকুর্তা পুলিশ ফাঁড়িতে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গেলে এসআই শাহ আলম তাকে হাতকড়া পরান। এরপর ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিকেল ৫টার দিকে তাকে ছেড়ে দেন। পরে চাঁদার ৫ লাখ টাকা না দেওয়ায় গত ৬ অক্টোবর এসআই শাহআলম কেয়ারটেকারকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। এতে করে রাফিয়া আক্তার তুলি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে।

Tags: