কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বিজিবির দাবি, নিহত যুবক মাদককারবারি। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র ও খালি গুলির খোসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে দুটি ব্যাগ হতে এক লাখ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।
রোববার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবকের নাম মামুন (২৩ )। তিনি উপজেলার মিনাবাজারের আবু সিদ্দিকের ছেলে বলে জানান স্থানীয়রা।
বিজিবি জানায়, টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউপির জিম্বংখালী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ হতে ৫০০ গজ উত্তরে ৭নং স্লুইচ গেটসংলগ্ন এলাকা দিয়ে ইয়াবার একটি বড় চালান মিয়ানমার থেকে আসতে পারে এমন গোপন সংবাদ পাওয়া যায়।
এর ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন সদর এবং অধীনস্থ জিম্বংখালী বিওপির বিশেষ টহল দল স্লুইচ গেট এলাকায় নাফ নদের তীরে গোপনে অবস্থান নেয়। তারা তিন ব্যক্তিকে শূন্য লাইন অতিক্রম করে নৌকায় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে দেখে তাদের চ্যালেঞ্জ করে বিজিবি।
এ সময় সশস্ত্র ইয়াবা পাচারকারীরা অতর্কিতভাবে টহল দলের ওপর গুলিবর্ষণ করতে থাকে। এতে বিজিবির দুই সদস্য আহত হন।
পরে আত্মরক্ষার্থে কৌশলগত অবস্থান নিয়ে পাল্টা গুলি করে বিজিবি। উভয়পক্ষের মধ্যে ৪-৫ মিনিটি গুলিবিনিময় হয়। এ সময় দুই ইয়াবাকারবারি নাফ নদে ডুব সাঁতার দিয়ে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়।
পরে গোলাগুলি থেমে গেলে স্লুইচ গেট কিনার থেকে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে টেকনাফ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।