muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

প্রচ্ছদ

খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন বলেই আওয়ামী লীগ আছে

খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন বলেই এখনো আওয়ামী লীগ আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে’এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

খালেদা জিয়া গণতন্ত্র, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক মন্তব্য করে তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আছেন বলেই এখন গণতন্ত্রের সংগ্রাম চলছে। তিনি আছেন বলেই আমাদের শত্রুরা আমাদের সীমান্তে ভয় পায়। আর খালেদা জিয়া বেঁচে আছেন বলেই এখনো আওয়ামী লীগ আছে। তা না হলে আওয়ামী লীগ থাকবে না।

নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এদেশে গণতন্ত্র ও সুশাসন চালু রাখতে চাইলে এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বসহ আমাদের সমস্ত অধিকার যদি বহাল রাখতে চাই, তাহলে অবশ্যই বেগম খালেদা জিয়াকে এই রাজনীতিতে আবারও ফিরে আনতে হবে এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করতে হবে।

ছাত্রদলের নেতা কর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অন্যায় ও নির্যাতনের প্রতিবাদ করতে হলে আজকে যুবক, তরুণ এবং ছাত্রদলকেই জেগে উঠতে হবে। কারণ বাংলাদেশের সকল বিজয় অর্জন হয়েছে ছাত্রদের নেতৃত্বে। তাই আবার সেই ছাত্রদলকে জেগে উঠতে হবে। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায় এবং স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নেতৃত্ব দিতে হবে। আর আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা দেয়া নিশ্চিত করতে হবে।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, আর বিলম্ব করবেন না। অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন এবং তাকে সুচিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় এদেশের জনগণ আপনাদের ক্ষমা করবে না। আপনাদের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে। সেই আন্দোলনই হবে এই সরকার পতনের শুরু।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সংগ্রামের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই নেত্রীকে আপনারা (সরকার) বন্দি করে রেখেছেন। কারণ আপনারা জানেন, তাকে যদি বন্দি করে রাখা না যায়, তাকে অসুস্থ অবস্থার চিকিৎসার জন্য যদি বিদেশে পাঠানো না যায় এবং জীবন থেকে যদি চলে যান তাহলে আপনার পথের কাঁটা দূর হবে। কিন্তু বন্ধুগণ, তা হয় না।

খালেদা জিয়া উড়ে এসে জুড়ে বসেননি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বেগম জিয়া জনগণের সঙ্গে থেকে লড়াই করে, রাজপথে সংগ্রাম করে এবং দীর্ঘ ৯ বছর স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। আবার ২০০৮ সাল থেকে এই ফ্যাসিবাদি সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে করতে এখনো তিনি কারানির্যাতন ভোগ করছেন। বাংলাদেশে কয়জন নেতা এখন আছেন, যারা এতো ত্যাগ স্বীকার করেছেন?

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

Tags: