muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

কিশোরগঞ্জে নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে কিশোরগঞ্জের হাওরের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী ও করিমগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই সব এলাকার কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে কিছু মানুষ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। অন্যরা পড়েছে দুর্ভোগে।

শনিবার (১৮ জুন) বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, টানা দুই দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে কিশোরগঞ্জ জেলার ইটনা, মিঠামইন, অষ্টগ্রাম, নিকলী ও করিমগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশি প্লাবিত হয়েছে ইটনা উপজেলা। ইটনা উপজেলাটির প্রায় ৮০ ভাগ এলাকা ইতিমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এ পাঁচটি উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা হয়ে যাবে।

সূত্রমতে, ইটনা উপজেলার লাইমপাশা, মৃগা, আমিরগঞ্জ, নুরপুর, বানিহাটী, পুরান হাটীতে পানি ঢুকে রাস্তাঘাট ও বাজার তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের অন্তত ১০টি মাছের পুকুর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। মিঠামইন উপজেলার চারপাশে নির্মাণাধীন অনন্ত ৩০টি গ্রাম পানিতে ডুবেছে। এসব গ্রামের লোকজন তাদের মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। এসব গ্রামের বাড়িঘর এখন পর্যন্ত এক ফুট পানির ওপরে ভাসছে। যেকোনো সময় প্রবল বাতাস ও বৃষ্টির কারণে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অষ্টগ্রাম উপজেলার বাগপাড়া, দালান হাটি, রংপুর হাটি ও স্বপন পাড়াসহ অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নিকলী উপজেলার দামপাড়া ও শিংপুরসহ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া করিমগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় যে ১৭টি জেলায় বন্যা হবে, তার মধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলার কথাও বলা হয়েছে। তাদের সূত্রমতে, কিশোরগঞ্জে হাওর এলাকার অনেক এলাকা ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়ে গেছে। আর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন পয়েন্ট গড়ে তিন ফুট পানি বেড়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠকে জানান, বন্যা পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করতে উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে হাওর অঞ্চল ঘুরে দেখেছি। হাওরের অনেক এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে। সেখানকার লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজনীয় নৌকাও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

ওই সব এলাকার জন্য সরকারিভাবে দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৪০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Tags: