muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

কিশোরগঞ্জের খবর

কিশোরগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যা, স্বামীর প্রাণদণ্ড

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) কিশোরগঞ্জের এক নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন মাহতাব (৪২) করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের উত্তর চানপুর গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে। অন্যদিকে ভিকটিমের নাম প্রজ্ঞা মোস্তফা (২৬)। তিনি ইটনার লাইমপাশা এলাকার আহসান মোস্তফার মেয়ে। ওই দম্পতির প্রশংসা মনি তিলকা নামে চার বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, বাদী আহসান মোস্তফার মেয়ে প্রজ্ঞা মোস্তফা কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স ফাইনাল বর্ষের ছাত্রী থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালে মাহতাবের সঙ্গে বিয়ে হয়। বিয়ের তিনমাস পর মাহতাব বিদেশে গিয়ে দুইমাস পর খালি হাতে ফিরে আসেন। ঘটনার মাসখানেক আগে স্ত্রী প্রজ্ঞা মোস্তফার কাছে দেলোয়ার হোসেন মাহতাব ব্যবসা করার জন্য দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন এবং বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। টাকা এনে দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে স্বামী মাহতাব স্ত্রী প্রজ্ঞার উপর অত্যাচার-নির্যাতন শুরু করেন।

এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ চলে আসছিল। এ পরিস্থিতিতে ২০১৯ সালের ২১ মার্চ সকালে যৌতুকের টাকার জন্য স্ত্রী প্রজ্ঞার সঙ্গে মাহতাবের কথা কাটাকাটি থেকে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে মাহতাব ক্ষিপ্ত হয়ে প্রজ্ঞাকে ঘরের মধ্যে ফেলে ছোরা দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রজ্ঞা মারা গেলে তার লাশ ফেলে রেখে মাহতাব পালিয়ে যান।

পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘাতক দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে ওইদিনই আটক করে।

এ ঘটনায় নিহত প্রজ্ঞা মোস্তফার পিতা মো. আহসান মোস্তফা বাদী হয়ে ওইদিনই করিমগঞ্জ থানায় দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ২০১৯ সালের ২৯ জুলাই আদালতে দেলোয়ার হোসেন মাহতাবকে অভিযুক্ত করে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে স্পেশাল পিপি এডভোকেট এম এ আফজল এবং আসামিপক্ষে এডভোকেট মিয়া মো. ফেরদৌস মামলাটি পরিচালনা করেন।

Tags: