
কুলিয়ারচরে মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেন উপজেলা চেয়ারম্যান
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইয়াছির মিয়া প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন।
শনিবার (২৮ জানুয়ারি) কুলিয়ারচর জামে মসজিদে জোহরের নামাজের পর মুসল্লি ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে তিনি এ ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
গত ২১ জানুয়ারি একটি মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসা এখন শিক্ষার বদলে ধর্মীয় লেবাসে একটি ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। মাদ্রাসা থেকে হাফেজি, তফসির পড়ার পর কী করবে তারা, তাদের ভবিষ্যৎ কী? কিছুই করতে না পেরে এক সময় হতাশা থেকে জঙ্গি হবে।’
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এনিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি দুপুরে স্থানীয় এক মাদ্রাসায় কুলিয়ারচর আলেম ওলামারা এক প্রতিবাদ সভা করে উপজেলা চেয়ারম্যানের মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে কটূক্তিমূলক বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) এক সমাবেশের ডাক দেয়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার দুপুরে কুলিয়ারচর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জোহরের নামাজের পর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ইয়াসির মিয়া মুসল্লিদের সামনে তার এ বক্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
মুসল্লিদের কাছে ক্ষমা চেয়ে ইয়াছির মিয়া বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। মনের অজান্তে আমার এ বক্তব্যে যদি কারও মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি প্রথমেই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং আপনারাও সবাই আমাকে ক্ষমা করে দেবেন।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কুলিয়ারচর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ইমতিয়াজ বিন মুসা জিসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. লিটন মিয়া ও কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মোস্তফা।