muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

তথ্য প্রযুক্তি

রেডিয়েশনের নেতিবাচক প্রচারণায় বসানো যাচ্ছে না টাওয়ার!

রেডিয়েশনের নেতিবাচক প্রচারণায় বসানো যাচ্ছে না টাওয়ার!

টেলিকম সেবায় কলড্রপ ও ইন্টারনেটের ধীরগতির সমস্যা সমাধানে রাজধানীতে প্রয়োজন পাঁচ শতাধিক নতুন টাওয়ার। অথচ নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে টাওয়ার কোম্পানিগুলো। তাদের অভিযোগ, রেডিয়েশন নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা ও ভীতির কারণে ভবন কিংবা জমিতে টাওয়ার বসাতে দিচ্ছে না সাধারণ মানুষ ও সরকারি সংস্থাগুলো।

শনিবার (২০ মে) রাজধানীর ব্রাক সেন্টার ইনে ‘মোবাইল টাওয়ার রেডিয়েশনের কাল্পনিক ভীতি’ শীর্ষক এক বৈঠকে এ কথা জানান মোবাইল অপারেটেররা।

টাওয়ার স্বল্পতায় টেলিকম সেবায় বাড়ছে কলড্রপ ও ইন্টারনেটের ধীরগতি। চরমে পৌঁছেছে গ্রাহক ভোগান্তি। এদিকে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে মুঠোফোন সংযোগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৩৮ লাখে। মোবাইলে ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন প্রায় ১১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ। অথচ এইসময়ে বাড়েনি প্রয়োজনীয় টাওয়ার সংখ্যা।

২০১৮ সালের আগে গ্রাহক চাহিদা বিবেচনায় টাওয়ার নির্মাণ করত মোবাইল অপারেটররা। তবে এরপর টাওয়ার নির্মাণের দায়িত্ব দেয়া হয় আলাদা চার প্রতিষ্ঠানকে। এরপর থেকেই শুরু হয় জটিলতা।

অনুষ্ঠানে খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, উন্নত সেবা দিতে এইমুহুর্তে ঢাকায় ৫০০ টাওয়ার দরকার। তবে সাধারণ মানুষ ও সরকারি সংস্থার বাধায় তা স্থাপন করা যাচ্ছে না। পাশাপাশি ডলার সংকটে নতুন তরঙ্গ নিয়েও তা স্থাপনের প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি আনতে পারছে না মোবাইল অপারেটররা।

বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, ‘মানুষ সেবা চায়, তবে টাওয়ার বসাতে দিতে চায় না। এটি একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বিটিআরসি বলছে, টাওয়ারের রেডিয়েশন নিয়ে অপপ্রচার চলছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইটিইউয়ের মানদণ্ড অনুযায়ী, টাওয়ার থেকে প্রতি বর্গমিটারে রেডিয়েশনের মাত্রা ২ দশমিক ১০৬ ওয়াট। অথচ বিটিআরসির জরিপে ঢাকাসহ সারা দেশে প্রতি বর্গমিটারে রেডিয়েশন পাওয়া গেছে এক ওয়াটের নিচে।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর শিকদার বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও আইটিইউ মানবদেহের জন্য ক্ষতির মাত্রা বিবেচনায় নিয়ে রেডিয়েশনের মাত্রা ৫০ ভাগ কমিয়ে নির্ধারণ করে দিয়েছে। তবে সেই মাত্রার চেয়েও ২০ ভাগ কমিয়ে দেশে রেডিয়েশনের মাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিটিআরসি। তারপরও এটি নিয়ে অপপ্রচার চলছে।

উল্লেখ্য, দেশে বর্তমানে মোবাইলে গ্রাহক সেবা দিতে সবমিলিয়ে ৪২ হাজার ৮০০ টাওয়ার রয়েছে।

Tags: