
অ্যান্টার্কটিকায় খুঁজে পাওয়া জলজ দানবটি পাঁচতলা ভবনের সমান
রকমারি ডেস্ক,
আজ থেকে ৬৬ মিলিয়ন বছর আগের কথা। সমুদ্রের এক দানব তার ধারালো দাঁত শত্রুকে বধ করতে ব্যবহার করেছিল। এর দৈর্ঘ্য ছিল পাঁচতলা অফিস বিল্ডিংয়ের চেয়েও বেশি। অ্যান্টার্কটিকার গভীর সমুদ্রের অন্ধকার তলে বিচরণ ছিল তার। নতুন এক গবেষণায় এসব তথ্য দেওয়া হয়।
সেই প্রাণীটির সন্ধান মিলেছে। একে ‘মসাসর’ বলেই ডাকা হচ্ছে। ক্রিটাসিয়াস যুগে জলজ প্রাণীদের একটি ছিল এই মসাসর। প্রাগৈতিহাসিক আমলের প্রাণীটি তার প্যাডেলের মতো অঙ্গ এবং লম্বা লেজের ব্যবহারে সাঁতরে বেড়াত। অ্যাটার্কটিকায় পাওয়া প্রাচীন আমলের প্রাণীদের মধ্যে দ্বিতীয় এটি। এর ফসিল বিজ্ঞানীদের অনেক ধারণা দিয়েছে।
দক্ষিণ চিলি এবং আর্জেন্টিনার মাচুপিচু সংস্কৃতির লোককথায় আছে, এক বিশাল জলজ দানব সমুদ্র দাপিয়ে বেড়ায়। সেই সমুদ্রের মালিক। তার নাম ‘কাই-কাই ফিলু’। তারই নাম অনুসারে খুঁজে পাওয়া প্রাণীটির নাম রাখা হয়েছে কাইকাইফিলু হার্ভি। এর নামের বাকি অংশে জুড়ে দেওয়া হয়েছে চিলির এক বিখ্যাত জিওলজিস্ট এবং অ্যান্টার্কটিক অভিযাত্রী ফ্রান্সিসকো হার্ভির নাম। এই মসাসরের প্রজাতি অন্যান্য জানা প্রজাতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এর জিন এবং প্রজাতি একেবারেই আলাদা।
চিলির প্যালেওনটোলজিক্যাল এক্সপিডিশনের বিজ্ঞানীরা এই মসাসরের ফসিলটি সেমোর আইল্যান্ডে আবিষ্কার করেন ২০১১ সালে। দলটি বাজে আবহাওয়ার মাঝে ছুটে বেড়িয়েছেন। সেখানে কয়েক দিন অবস্থান করেন তারা। ফসিলটি আবিষ্কার করতে তাদের হাঁটু পর্যন্ত কাদার মধ্যে অবস্থান করতে হয়।
মসাসরের মাথার কঙ্কালটি ৪ ফুট লম্বা। সে অনুযায়ী তার দেহটি ৩৩ ফুটের মতো বলে আন্দাজ করছেন বিজ্ঞানীরা। অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে এটাই সবচেয়ে বড় দানব বলে মনে করা হচ্ছে।
উত্তর বনাম দক্ষিণ :
মসাসরের অস্তিত্ব উত্তর আমেরিকাতে অদ্ভুত কিছু নয়। একসময় উত্তর আমেরিকায় সমুদ্রপথ পূর্ব এবং পশ্চিমে ভাগ হয়ে যায়। তবে দক্ষিণ গোলার্ধে এমন প্রাণী খুঁজে পাওয়া বিরল ঘটনা। এসব তথ্য দেন ইউনিভার্সিটি অব চিলির প্যালেওনটোলজিস্ট রদ্রিগো ওটেরো।
উত্তর আমেরিকার আরেক মসাসর যার নাম টাইলোসরাস। কে হার্ভি অনেকটা তারই মতো। এর মাথার কঙ্কালটি ২.৩ ফুট লম্বা। কে হার্ভির ৫ মিলিয়ন বছর আগে তার বিচরণ ছিল।
উষ্ণ অ্যান্টার্কটিকা :
যদিও এখন অ্যান্টার্কটিকা বরফে জমে থাকে। কিন্তু ডাইনোসরের আমলে এটি উষ্ণ ছিল। তখন এ অঞ্চলে আরো অনেক প্রজাতির প্রাণীর বিচরণ ছিল। কে হার্ভির মতো প্রাণীর বেঁচে থাকার পরিবেশ দিয়েছিল অ্যান্টার্কটিকা।
ওটেরো জানান, সেই আমলে এত বড় প্রাণীর যে বিচরণ ছিল, তার সম্পর্কে বর্তমানে কোনো ধারণাই দেয় না অ্যান্টার্কটিকা। এই আবিষ্কার অ্যান্টার্কটিকার ইকোসিস্টেম সম্পর্কে অনেক ধারণা দেবে আমাদের।
ক্রিটাসিয়াস রিসার্চ জার্নালে গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়।
সূত্র : ফক্স নিউজ
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ / ১২-১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব
আরও পড়ুন
Comments are closed.
consumer electronics these days are mostly composed of gadgets that are more into phones and internet connection,.
what is the best way too cool down my house using a box fan and AC at the same time?
I simply want to tell you that I am just newbie to blogging and site-building and certainly liked this web page. Almost certainly I’m want to bookmark your site . You surely have awesome articles and reviews. Kudos for sharing with us your website.