মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নাসিরনগরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্মের অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির ও বসতবাড়িতে হামলা, লুণ্ঠন, নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। পরে অনুসন্ধানে দেখা গেছে আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দলই এই ঘটনার জন্য দায়ী।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উদ্যোগে ‘দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক হামলা ও জাতিগত নিপীড়ন রুখে দাঁড়ান’ আহ্বানে বিক্ষোভ ও সংহতি সমাবেশে এসব কথা বলেন জোনায়েদ সাকি।
জোনায়েদ সাকি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের অন্তর্কোন্দল আড়াল করার চেষ্টা চলছে। এই অন্তর্কোন্দলের বলী হচ্ছেন বিভিন্ন ধর্ম ও জাতির মানুষ। ইতিপূর্বে রামুতে সাম্প্রদায়িক হামলার ক্ষেত্রে যারা হামলার মদদদাতা ও হামলাকারী তাদের চিহ্নিত করা বা বিচার করা হয়নি। নাসিরনগরেও আমরা তারই ধারাবাহিকতা দেখতে পাচ্ছি।
দলের নির্বাহী সমন্বয়কারী আবদুস সালাম বলেন, গাইবান্ধায় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষের পৈতৃক জমি চিনিকলের জন্য বরাদ্দ নেওয়া হয়েছিল, শর্ত ছিল চিনি কলের প্রয়োজনে না লাগলে এই জমি ফেরত দেওয়া হবে। একই যুক্তিতে স্থানীয় বেশ কিছু বাঙালি পরিবার বন্ধ হয়ে যাওয়া চিনি কলের কাছ থেকে তাদের জমি উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও সাঁওতাল সম্প্রদায়ের জমি স্থানীয় সংসদ সদস্যের ছত্রচ্ছায়ায় আওয়ামী লীগ নেতারা ও চিনিকল কর্তৃপক্ষ বর্গা দিয়ে ও নানা উপায়ে ভোগ দখল করছেন। সাঁওতালরা তাদের নিজেদের এই জমিতে বসত বাড়ি স্থাপন করলে পুলিশ ও স্থানীয় বাহিনীর হামলার শিকার হয়।
সমাবেশে সংহতি বক্তব্যে বক্তারা বলেন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সব সম্প্রদায়ের মানুষ নাগরিক হিসেবে নিরাপদে বসবাস করবেন এটাই স্বাভাবিক হওয়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে হিন্দু ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের সম্পত্তি, জমি-জমা দখল ও লুট করা হচ্ছে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলেও সরকার এ ঘটনাগুলো বন্ধ করতে পারছে না।
জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন ফিরোজ আহমেদ, আবুল হাসান রুবেল। সভায় সংহতি জানান মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ নঈম জাহাঙ্গীর, আমিনুল কামাল রুমী, লেখক ও শিল্পী অরূপ রাহী এবং সমগীত সংস্কৃতি প্রাঙ্গণের সভাপতি শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী অমল আকাশ প্রমুখ।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ / ১২-১১-২০১৬ ইং / মো: হাছিব