muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

আগামীকাল অর্থমন্ত্রী ৮৪ বছরে পা রাখছেন

মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ রিপোর্ট,
আগামীকাল অর্থমন্ত্রী এএমএ আবদুল মুহিতের জন্মদিন। বুধবার তিনি ৮৪ বছরে পা রাখছেন।
জন্মদিন উপলক্ষে চন্দ্রাবতী একাডেমি অর্থমন্ত্রীর জীবন বৃত্তান্তের দ্বিতীয় অংশ ‘স্মৃতিময় কর্মজীবন’ নামের একটি নতুন গ্রন্থের প্রকাশনা উত্সবের আয়োজন করেছে। গত বছরে একুশে বই মেলার সময়ে বইটির প্রথম খণ্ড প্রকাশ করা হয়েছিল। এ বছরে দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশ করা হচ্ছে। প্রকাশনা উত্সবে কেক কেটে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হবে। এ ছাড়া তাঁর বণার্ঢ্য কর্মজীবন এবং সমাজ ও দেশের প্রতি তাঁর মহান অবদানের ওপর এক আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়েছে।
পাশাপাশি মন্ত্রিসভায় তাঁর সহকর্মী, পরিবারের সদস্য এবং শুভাকাঙ্খিরা তাকে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা জানাবেন এবং তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করবেন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর বাবা এডভোকেট আবু আহমেদ আবদুল হাফিজ এবং মা সৈয়দা সাহারা বানু চৌধুরী। তাঁর পিতা ছিলেন পাকিস্তান আন্দোলনের একজন নেতা এবং পরে সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা নেতা হন। তাঁর মা ছিলেন একজন রাজনৈতিক কর্মী ও সমাজ কর্মী।
আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৫১ সালে সিলেট এমসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রদেশে প্রথম স্থান অধিকার করেন। তিনি ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বি.এ অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হন এবং ১৯৫৫ সালে এই একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
তিনি তার কর্মময় জীবনে ১৯৫৭-৫৮ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৪ সালে হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে মাষ্টার ডিগ্রি লাভ করেন।
অর্থমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে উল্লেখিত তথ্য অনুযায়ী তিনি ১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সাভির্সে যোগ দেন। তিনি পূর্ব পাকিস্তান সরকার, পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭২ সালে জানুয়ারি মাসে পরিকল্পনা সচিব হিসাবে নিয়োগ পান এবং ১৯৭৭ সালের মে মাসে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগের সচিব পদে নিয়োগ পান। তিনি ১৯৬৬ সালে পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনে প্রধান ও উপ সচিব থাকাকালে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যের ওপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। সাংবিধানিক বাধ্যবাদকতা বাস্তবায়নে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে এ বিষয়ে উত্থাপিত এটি ছিল প্রথম প্রতিবেদন।
আবুল মাল আবদুল মুহিত অর্থনৈতিক কূটনীতিতেও ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তিনি ওয়াল্ড ব্যাংক, আইএমএফ, আইডিবি, এডিবি এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে ডব্লিউ উইলসন স্কুলের ভিজিটিং ফেলো ছিলেন।
তিনি ১৯৮১ সালে চাকরি জীবন থেকে অবসরে যান। তবে অবসরে গিয়ে ঘরে বসে থাকেননি। শুরু করেন নতুন জীবন। তিনি ফোর্ড ফাউন্ডেশনে এবং ইফাদে অর্থনীতি ও উন্নয়ন বিষয়ে কনসালট্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালের মার্চ থেকে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর পযর্ন্ত অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন এবং পরবর্তীতে বিশ্ব ব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন ইনিষ্টিটিউটে কনসালট্যান্টের দায়িত্ব পালন করেন।
তিণি একজন লেখকও। মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ইতিহাস, জনপ্রশাসন এবং রাজনৈতিক সমস্যাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ২৩টি বই লিখেছেন।
মুহিত বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) একজন অগ্রনায়ক। তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তাঁর স্ত্রী সৈয়দা সবিহা মুহিত। তাদের দুই পুত্র ও এক কন্যা রয়েছে। তিনি ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অর্থমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। তিনি অর্থমন্ত্রী হিসাবে এ পযর্ন্ত আটবার জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করেছেন। গত বছরে দেশের ৪৫তম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ১৭তম বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করেন।
মুক্তিযোদ্ধার কণ্ঠ ডটকম/ ২৪ -০১-২০১৭ইং  / মো: হাছিব

Tags: