অভিনব পন্থায় মোবাইলে প্রতারণা

সোহেল ইবনে ছিদ্দিক, স্টাফ রিপোর্টার (ঢাকা) ।।

মোবাইলে প্রতারণা নতুন কোন বিষয় না। একটি চক্র বহুদিন ধরে বিভিন্ন ভাবে মোবাইল ব্যবহারকারীদের প্রতারিত করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। সাধারনত গ্রমের মানুষরাই এতে বেশি প্রতারিত হচ্ছে। লটারির মাধ্যমে এই জিতেছেন সেই জিতেছেন বলে প্রথমে প্রলোভন দেখায় তারপর বিজয়ীকে পুরষ্কার নেয়ার জন্য বিকাশ নাম্বার দিয়ে বলে এই নাম্বারে এত টাকা পাঠান তারপর ঐ নাম্বারে টাকা পাটালেই বিজয়ী তার পুরষ্কার পেয়ে যাবেন বলে টাকা আদায় করে।

টাকা পাঠানোর পর পরই ঐ নাম্বার বন্ধ করে দেয়া হয়। তরপর ঐ নাম্বার, বিকাশ নাম্বার, মোবাইল রেকর্ডিং নিয়ে প্রতারিত ব্যক্তি কিছুটা দৌড় -ঝাপ করে, এতে কি আর কাজ হয়। পুলিশের কাছে গেলেও তেমন কোন সহযোগীতা পাওয়া যায় না। আর এই কয় টাকার জন্য তো আর কেও মামলা করে না। অবশেষে নিরাশা আরা হতাশা নিয়ে নিজে থেকেই বাদ দিয়ে দেয়, যা গিয়েছে গিয়েছে ঐটার পিছনে আর ছুটে লাভ নেই।

এটা ছিল আগের পন্থা কিন্তু এখন দিন বদলের সাথে সাথে বদলে গেছে প্রতারণার ধরনও। প্রতারণার অভিনব পন্থা হল বিভিন্ন এপস্। মাই বাংলালিংক, মাই জিপি, মাই রবি, মাই এয়ারটেল এই এপস গোলোর মাধ্যমে কোন নাম্বার সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যায়। কোন নাম্বারে কত মিনিট কথা বলা হয়েছে কোন কোন পেকেজ ব্যবহার করা হচ্ছে, এফ এন এফ ও সুপার এফ এন এফ কি কত টাকা ব্যালেন্স আছে সব ডিটেইলস জানা যায়। তাই এই এপস্ সম্পর্কে যার ধারনা নেই থাকে অনায়াসেই কাবু করা যায়। সে চালাক হলেও বোকা হয়ে যাবে।

প্রতারণার ধরনটা হল এরকম…. প্রতারক প্রথমে ফোন দিয়ে বলবে আমি বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার থেকে বলছি আপনি রিচার্যের মাধ্যমে একটি পুরুষ্কার পেয়েছে অথবা একটি হ্যান্ডসেট পেয়েছেন দেখেন আপনার মোবাইলে একটি এস এম এস পাটানো হয়েছে সেখানে একটা ই টোকেন নাম্বার আছে সেই নাম্বারটা বললেই জানতে পারবেন আপনি কি হ্যান্ডসেট পেয়েছেন। (আসলে এই এপস্ গুলো চালু করার জন্য বাংলালিংক, গ্রামিন, রবি, এয়ারটেল যে এপস্ টি ওপেন করবেন ঐ এপস এর জন্য যে নাম্বারে খুলবেন ঐ নাম্বারে এসএমএসে একটি ই- টোকেন নাম্বার পাটানো হয় ঐ ই-টোকেন নাম্বার ছারা এপস্ খোলা যাবে না)। তখন যদি আপনি ই-টোকেন নাম্বাটি দিয়ে দেন তাহলে ওর প্রতারণার শিকার হয়েই গেছেন কারণ এর পর থেকে ও আপনার সিম সম্পর্কে আপনার চেয়ে বেশি বলবে তারা। তখন আপনি যতই চালাক হন মাথায় আর কাজ করবে না কারণ সে বলে দিচ্ছে আপনার মোবাইলে কত টাকা ব্যালেন্স আছে লাস্ট কার সাথে কত মিনিট কথা বলেছেন তখন স্বভাবতই আপনিও ভাববেন হে ঐ লোক কাস্টমার কেয়ার থেকেই কথা বলছে। তখন ঐ লোক আপনাকে বলবে আপনার নাম্বারে টাকা রিচার্জ করতে। আপনি যত চালাকেই হন ভাববেন আপনার নাম্বারেইত টাকা রিচার্জ করছেন এতে আর কি হবে আবার ব্যালেন্স আসার সাথে সাথে বলে দিবে যে আপনি কত টাকা রিচার্য করেছেন এতে প্রতারকের প্রতি আপনার কনফিডেন্স আরও বেরে যাবে কিন্তু কিছুক্ষন পরেই দেখবেন আপনার ব্যালেন্স শুন্য। এ ছারাও ওরা আপনাকে বিকাশ অথবা ডাচ্ বাংলাতে টাকা পাটাতে বলবে।

তাই এই ধরনের প্রতারণা থেকে নিজে বাচুন অন্যকে বাচান এবং কেউ যদি কখনো কোন ই-টোকেন নাম্বার চায় বা কোন কোড নাম্বার চায় অবশ্যই দিবেন না। আর যদি কোন প্রতারকের সন্ধান পান তাকে আইনের হাতে তুলে দিন।

 

মুক্তিযোদ্ধার কন্ঠ ডটকম/ ১৪-০৮-২০১৭ইং/ অর্থ


আরও পড়ুন