রায়পুর : লক্ষ্মীপুরের রায়পুরের দক্ষিন চরবংশী ইউনিয়নে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। তারা ফসলি জমি এবং সরকারি খাল বিল যেখানে ইচ্ছা সেখানে বালু তুলছেন। বীর দর্পে প্রভাব খাটিয়ে কারোর কথা কর্ণপাত না করে বালু তোলা অব্যাহত রেখেছেন। বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন, ২০১০ অমান্য করেই এসব নদী, ফসলি জমি, পুকুর খাল থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালু।
অভিযোগ উঠেছে, এসব বালু ব্যবসা আর ব্যবসায়ীদের পিছন থেকে সাহায্য করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। ফলে একদিকে ঘর-বাড়ি ভাঙ্গনের ভয়ে দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। অন্যদিকে পরিবেশ হারিয়ে ফেলেছে তার নিজস্ব ভারসাম্য।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৮নং দক্ষিণ চরবংশীতে টুনুচরে আলমগীর, শেখপাড়াতে আবুল হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড মিয়ার বাজারে হাশিম দেওয়ান, বাবুল বেপারি মফিজ সরকারও মফিজ সর্দার। হাজীমারা, সাবেক চেয়ারম্যান রশিদ মোল্লার বাড়ির উত্তর পাশে জালাল সর্দার এবং কালু বেপারির বাজারে পাশে ২ টি ডেজার নিয়মিত প্রায় ৮ টি স্পটে চলছে বালু উত্তোলন। বোমা মেশিন, শ্যালো মেশিনসহ অবৈধ যান্ত্রিক মেশিনের বিকট শব্দে এলাকায় কথা শোনা বা বলার অবকাশ নেই। অথচ আইনে বলা হয়েছে, নদীর ভূ- প্রাকৃতিক পরিবেশ, মৎস, জলজ প্রাণী বা উদ্ভিদ বিনিষ্ট হলে বা হবার আশংকা থাকলে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পাম্প বা ড্রেজিং বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভূ-গর্ভস্থ বালু বা মাটি উত্তোলন করা যাবে না। কিন্তু এসব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অনেক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে এ অবৈধ বালু ব্যবসা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সীমানার মধ্য হলে প্রত্যেকটি বালু ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে দৈনিক বা সাপ্তাহিক টাকা গ্রহণ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। কেউ কেউ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুক্তিবদ্ধ হয়ে বালু সংরক্ষনের জন্য দিচ্ছেন ফসলি জমি। বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গিয়ে নিরাপওাজনিত অভাব অনুভব করছে এলাকার সচেতন মানুষ।