muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

বরগুনার পাথরঘাটায় টেংরা সড়কের ব্রিজ ভেঙে পাঁচ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ

মোঃ খারেদ মোশাররফ সোহেল, বরগুনা প্রতিনিধি।। বরগুনার পাথরঘাটায় ছোট টেংরা সড়কের ওপর নির্মিত সেতু ভেঙে যাওয়ায় স্থানীয় জনসাধারণকে দীর্ঘ দিন ধরে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সিডর-পরবর্তী পুণঃনির্মাণ করা হলেও মাত্র তিন বছরের মাথায় এটি আবারো ভেঙে যায়। গত আট বছরেও ব্রিজটি পুণঃনির্মাণ করা হয়নি। ভাঙা ব্রিজটি নিয়ে মাথাব্যথা নেই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। কয়েক বছর ধরে ভেঙে পড়া ব্রিজটি মেরামত না হওয়ায় শিক্ষার্থীসহ সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাতায়াত হুমকির মুখে পড়েছে। এতে করে কাছাকাছি টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিজলাঠিমারা আলিম মাদরাসা, ছোট টেংরা ছালেহিয়া দীনিয়া মাদারাসা ও পাথরঘাটার স্কুল-কলেজের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর যাতায়াতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। চরদুয়ানী ইউনিয়ন ও পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের সাথে সংযোগ সড়কের এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ যাতায়াত করে থাকে।

টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সবুজ, ফেরদৌস, সারমিন ও পাথরঘাটা কলেজের শিক্ষার্থী সুজন, মনির সাবিনাসহ বেশ কয়েকজন জানায়, দীর্ঘ দিন হলো সেতুটি ভেঙে পড়েছে। তারপর থেকে টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিজলাঠিমারা আলিম মাদারাসা, ছোট টেংরা ছালেহিয়া দীনিয়া মাদরাসার পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। তাই তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুটি নির্মাণের দাবি জানায়।

স্থানীয় সালাম মাস্টার, মাওলানা মজিবুর রহমান, আব্দুল ছত্তার, মুজাহিদুল ইসলাম ও টেংরা মসজিদের ইমাম বেলাল উদ্দিনসহ আরো অনেকে জানান, ছোট টেংরা, গাববাড়িয়া, মঠেরখাল, তাফালবাড়িয়াসহ পাঁচ গ্রামের মানুষ এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। সেতুটি তাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা। দীর্ঘ আট বছর অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলাচলের বিকল্প কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তাই এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

স্থানীয় চরদুয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বজলুর রহমান ফারুক জানান, সিডর-পরবর্তী সেতুটি পুণঃনির্মাণ করা হয়। পুণঃনির্মাণের মাত্র তিন বছর পর হঠাৎ ভেঙে পড়ায় পাঁচ গ্রামের লোকজন খুব বেকায়দায় পড়েছে।

পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রিপন জানান, তারা সরেজমিন গিয়ে সেতুটি দেখেছেন। এর জন্য শিগগিরই টেন্ডার আহ্বান করা হবে। টেন্ডার পেলে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে।

Tags: