muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

চাকরিতে আবেদনের বয়স ৩৫ দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার জন্য দশম জাতীয় সংসদের জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পরপর ৩ বার বাস্তবায়নের সুপারিশ করেন এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে অঙ্গিকার চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন।

সংগঠনটির আহ্বায়ক সঞ্জয় দাস বলেন, আমরা দীর্ঘ ৭ বছর ধরে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার দাবী জানিয়ে আসছি, সম্পূর্ণ অহিংস পদ্ধতিতে আমাদের এই দাবী বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে দীর্ঘ সময় ধরে,আমরা ইতোমধ্যেই মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে ৩৫ বাস্তবায়নের জন্য দেখা করেছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস বর্তমান সরকার অতি শীঘ্রই আমাদের এই দাবী মেনে নিয়ে আবারও প্রমাণ করে দিবেন যে বাংলাদেশে এখনো অহিংস পদ্ধতিতে দাবী আদায় করা সম্ভব।

সংগঠনটির যুগ্ম-আহ্বায়ক হারুন-অর-রশিদ বলেন, আমরা ইতোমধ্যেই মাননীয় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী জনাব ফরহাদ হোসেন স্যারের সাথে সাক্ষাৎ করেছি। মাননীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, তোমাদের দাবী যৌক্তিক এবং দ্রুত সময়ের মধ্যেই বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি আরো বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনেই চাকরিতে আবেদনের বয়স বৃদ্ধির বিষয়টি সংসদ সদস্যদের মধ্যে আলোচনা করে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে এবং দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে বলে আমাদের আশ্বস্ত করেন।

উল্লেখ্য যে, চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ন্যূনতম ৩৫ বছর করার প্রস্তাব করেন বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আব্দুল হামিদ (স্পিকার থাকাকালীন অবস্থায়) ২০১২ সালের ৩১ জানুয়ারি। সেই ২০১২ সাল থেকেই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ বছরে উন্নীত করার দাবী জানিয়ে আসছে সংগঠনটি। দাবীটি একাধিকবার মহান জাতীয় সংসদে বিভিন্ন সংসদ সদস্য দ্বারা উত্থাপিত হয়েছে। এদের মধ্যে ছিলেন দশম জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদ, বেগম খোরশেদ আরা হক, মঈন উদ্দীন খান বাদল, রুস্তম আলি ফরাজি প্রমূখ। গত ২৭ জুন, ১০ সেপ্টেম্বর ও সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরে উন্নীত করার সুপারিশ করেন। সংগঠনটি এই দাবী আদায়ের লক্ষ্যে অহিংস পদ্ধতিতে মানববন্ধন , র‌্যালি, প্রতীকি প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, সমাবেশ ও অনশন করেছে। যদিও অনেকেই বলছেন বর্তমানে দেশে সেশনজট নেই কিন্তু পূর্ববর্তী সেশনজটের শিকার এই ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সেশনজটে হারিয়ে যাওয়া সেই বছর গুলো ফেরত চান। কেননা এই হারিয়ে যাওয়া বছর গুলোর দ্বায়ভার রাষ্ট্রের উপরই বর্তায়। যদিও আন্দোলনটি ২০১২ সাল থেকে চলছে কিন্তু একাধিক বার বিভিন্ন মহল থেকে বয়স বাড়ানোর কথা বলা হলেও তা এখনো বাস্তবতার মুখ দেখেনি। যেখানে গত ৭ বছরে বয়সসীমা বাড়েনি, সেখানে অনেকেই বলছেন নির্বাচনের পরে বয়সসীমা বাড়বে। এই রকম আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা বিশ্বাস রাখতে পারছেন না। তাই এই দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবেই।


প্রেস বিজ্ঞাপ্তি

Tags: