muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

ডিমলায় এক যুবকের পরিকল্পিত মৃত্যু

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার নাউতারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের আকাশকুড়ী গ্রামের স্বাধীন চন্দ্র রায় এর পুত্র চয়ন চন্দ্র রায় (২৮) এর পরিকল্পিত মৃর্ত্যুকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা কল্পনা। এলাকায় বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

সরজমিনে এলাকাবাসীরা জানান, চয়ন চন্দ্র রায় দীর্ঘদিন ধরিয়া বিভিন্ন বাজারে চায়ের দোকানে ও জোরজিগা বাজারে মহেশ ও ঝিলা এর চায়ের দোকানে কাজ করত। সে গত রাত ১৮ জুন সন্ধায় জলঢাকা উপজেলার নবাবগঞ্জ বাজারে ছারকাস দেখতে গিয়েছিল তার বেশ কয়েকজন বন্ধু মিলে। কিন্তু ছারকাস শেষে সব বন্ধু বাড়ি ফিরলেও চয়ন চন্দ্র রায় আর বাড়ি ফেরে না।

এ বিষয়ে চয়নের মায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, রাত ২ টার দিকে আমি আমার ছেলে বাড়িতে না আসায় তার মোবাইল ফোনে কল দিতে থাকি কিন্তু তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাই। পরের দিন ১৯ জুন সকালে লোক মরফত জানিতে পারিলাম যে, আমার ছেলে চয়নের লাশ দিলীপ চন্দ্র রায় এর কচু ক্ষেতে পড়িয়া আছে। তিনি আরো জানায় আমার ছেলেকে কে মারিয়াছে আমি তার বিচার চাই।

কিন্তু চয়ন চন্দ্র রায় এ মৃত্যু ঘটনাটি এলাকাবাসী ও তার বাবা ও মার পূর্ব পরিকল্পিত মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে। এদিকে এ ঘটনার পর থেকেই তার দুই বন্ধু মৃত রমেশ চন্দ্র রায় এর ছেলে দিলীপ চন্দ্র রায় (৩৫) ও তুলেশ চন্দ্র রায় এর ছেলে শুসান্ত রায় (১৯) একই এলাকার বাসিন্দা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের ঘটনাস্থলে তাদের আটক করে এবং পরে ডিমলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় ডিমলা থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মফিজ উদ্দীন শেখ, এস আই সুরত ও সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং লাশটির প্রাথমিক সুরতহাল শেষে সংবাদকর্মীদের জানায় মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

চয়ন চন্দ্র রায় এর ঘটনাটি পরিকল্পিত হওয়ায় পুলিশ তার দুই বন্ধু দিলীপ চন্দ্র রায় ও শুসান্ত রায় সহ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ডিমলা থানায় নিয়ে আসেন। লাশটি দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়। ময়না তদন্ত শেষে লাশটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Tags: