সৌদি আরব থেকে আরও ১৩০ বাংলাদেশি ফিরে এসেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে দেশে ফেরেন তারা।
ধরপাকড়ের শিকার হওয়ায় দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হচ্ছেন কর্মীরা। নাটোরের রবিউল করিম, বাগেরহাটের মেহেদি হাসানসহ সৌদি আরব থেকে ফেরত যাওয়া কর্মীদের অভিযোগ, ধরপাকড় অভিযানে বাদ যাচ্ছে না বৈধ আকামা থাকা কর্মীরাও।
অনেকে অভিযোগ করেছেন, কর্মস্থল থেকে ঘরে ফেরার পথে পুলিশ অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে। তাদের নিয়োগ কর্তাদের সঙ্গে যোগযোগ করা হলেও কর্মীদের ব্যাপারে কোনো দায়িত্ব বা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না।
আকামা থাকা সত্ত্বেও কর্মীদেরকে ডির্পোটেশন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আবার দীর্ঘদিন অবৈধভাবে থাকার কারণেও অনেককে আটক করে ফেরত পাঠানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন দেশে ফেরত যাওয়া কর্মীরা।
চলতি বছর সৌদি আরব থেকে এভাবে অন্তত এগারো থেকে ১২ হাজার কর্মী দেশে ফিরেছেন। এদিকে চলতি বছরের ৯ মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২৫ হাজার বাংলাদেশি কর্মী ফেরত এসেছেন। এর মধ্যে অর্ধেকই এসেছেন সৌদি আরব থেকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গন্তব্য দেশগুলোতে আইনি কঠোরতা এবং শ্রমিকদের অনিবন্ধিত হয়ে পড়ার কারণেই তাদের ধরে দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এ নয় মাসে প্রায় এক হাজার নারীকর্মীও দেশে ফেরত এসেছেন।