বিয়ের ৫মাসের মাথায় ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে লাশ হয়ে ফিরলো ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ড নাটকঘর বাইলেন এলাকার আব্দুছ ছামাদ এর কন্যা লামিয়া লাইজু।
গত ১৫ আগস্ট বিকেলে ধোবাউড়ার উপজেলার ঘোষগাঁও এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় লাইজুর মরদেহ উদ্ধার করে বলে জানাযায়। এরপর রোববার সকালে ময়নাতন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেলের মর্গে লাশ পাঠিয়েছে পুলিশ।
নিহতের বড় বোন জানায় চলতি বছরের ১১ মার্চ ধোবাউড়ার ঘোষগাঁও গ্রামের শাহাজ উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমান শরীফের সঙ্গে বিয়ে হয় লামিয়া লাইজুর। বিয়ের সময় ধার-দেনা করে পাঁচ ভরি সোনা দেন তার পিতা আব্দুছ ছামাদ। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় বিয়ের পর থেকে লাইজুর স্বামী ১০ লাখ টাকার যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। চাহিদা মতো টাকা দিতে না পারায় মেয়ের উপর প্রায় সময় শ্বশুর বাড়ি লোকজন নির্যাতন করতো। অবশেষে আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে বলে দাবি করেন মেয়ের বাবা। আব্দুছ ছামাদ আরো বলেন আমরা মেয়ের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতে চিহ্ন দেখতে পেয়েছি।
ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলহাজ্ব মো. আব্দুল মান্নান জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পূর্বে মতিউর রহমান শরীফ টাকা চেয়েছিল বলে আমরা জেনেছি। এটি সাজনো একটি হত্যাকান্ডও হতে পারে, সঠিক তদন্ত সহ এই হত্যাকান্ডের বিচারের যেন হয় এদাবি জানাচ্ছি ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, এ ঘটনায় আত্মহত্যার প্ররোচণার অভিযোগে ধোবাউড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। লাইজুর শ্বশুর শাহাজ উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ময়না দতন্তের রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে ঘটনার পর থেকে লাইজুর স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক রয়েছে। সচেতন মহলের দাবি, লাইজুর হত্যার সঠিক তদন্তের মাধ্যামে হত্যার সাথে জড়িতদের সর্বোচ্ছ শাস্তি নিশ্চিত হয় যেন।