muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

জাতীয়

অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না : প্রধানমন্ত্রী

লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে পারে না মন্তব‌্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না। সরকার স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দিতে কাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক এবং বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ এনএসটি ফেলোশিপ এবং গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস যখন পারে নাই, তবে আর কেউ পারবে না। আমরা বিশ্বমর্যাদা পেয়েছি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে। এখন আর বাংলাদেশকে কেউ অবহেলার চোখে দেখতে পারবে না।

টানা সরকারে থাকায় উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ভবিষ্যতে উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবো। আমি সব সময় চাই মানবকল্যাণে কাজ করতে। বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। আমরা প্ল্যান করে দিয়ে যাচ্ছি।’

‘২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করে ২০০৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছিলাম, যে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হবে, সেই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে কাজ করেছি। এ কারণে আজ কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছি ঠিক সময়মতো। আমরা ২০২১ থেকে ২০৪১ এই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে দিয়ে গেলাম। এর ওপর ভিত্তি করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে উন্নয়নের যাত্রা শুরু করতে হবে।’

ইতিমধ্যে অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ২১০০ সাল ডেল্টা প্ল্যান করে দিয়েছি। এই ভূখণ্ডকে এমনভাবে তৈরি করে দেওয়া যেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম সুন্দরভাবে বাঁচতে পারে, উন্নত জীবন পায়। সেই লক্ষ্য নিয়েই ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন করে সেটা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছি।’

করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা ভ্যাকসিন শুরু করেছি। টিকা দেওয়ার কর্মসূচিতে শিক্ষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রাইমারি থেকে শুরু করে একেবারে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। দেওয়া শেষ হলে মার্চ মাসের শেষদিকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সক্ষম হবো।’

আওয়ামী লীগ সরকার বিজ্ঞান শিক্ষাকে খুব গুরুত্ব দিয়ে এগিয়েছে জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন অবাক হয়ে দেখলাম বিজ্ঞানের জন্য কোনোরকম বরাদ্দ ছিল না। গবেষণার জন্য কোনও বরাদ্দ ছিল না। এমনকি শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। কিন্তু বিশ্বব্যাপী আমরা যদি দেখি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এটা অগ্রগতি সাধন করার একটা উপায়। গবেষণার ছাড়া বা বিজ্ঞান প্রযুক্তি শিক্ষা ছাড়া কীভাবে একটা জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে না।

‘আমরা শিক্ষাকে বহুমুখী করা এবং দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিয়েছি। সেই লক্ষ্যে উচ্চশিক্ষার প্রসারে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি’, বলেন তিনি।

দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চিন্তাভাবনা সরকারের রয়েছে বলেও জানান তিনি।

বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ ও বিশেষ গবেষণা অনুদানের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী, ফেলো, গবেষকদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে গবেষণার মধ্যে দিয়েই উৎকর্ষতা অর্জন করা যায় এবং বিজ্ঞান আমাদের পথ দেখায় বলে দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী।

ফেলোশিপ ও গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্তে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আ ফ ম রুহুল হকসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Tags: