muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

আন্তর্জাতিক

তালেবানকে বিমান দিয়ে সহায়তা দিচ্ছে পাকিস্তান!

আফগানিস্তানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছেন, তালেবানকে বিমান দিয়ে প্রকাশ্যে সহায়তা করছে পাকিস্তান। তবে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আফগানিস্তানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ অভিযোগ করেন, স্পিন-বলদাক সীমান্ত দখলের পর পাকিস্তান সেনাবাহিনী তালেবানকে সহায়তা দিচ্ছে। আমরুল্লাহ সালেহ বলেন, আফগান সেনাবাহিনীকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী অফিসিয়ালি হুমকি দিয়েছে যে, তালেবানকে স্থানচ্যুত করতে চাইলে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী প্রতিহত করবে।

আফগান সরকারের শীর্ষ কর্মকর্তারা আরও অভিযোগ করছেন, পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী কিছু এলাকায় তালেবান যোদ্ধাদের বিমান দিয়ে সহায়তা করছে।

তবে শুক্রবার এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে। বিবৃতিতে বলা হয়, পাকিস্তানের বিমানবাহিনী শুধুমাত্র পাকিস্তানের আকাশসীমা রক্ষার জন্য নিয়োজিত।

এর আগে গত বুধবার পাকিস্তানের সমুদ্রবন্দরগুলোর সঙ্গে আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর কান্দাহারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদারটি দখলে নেয় তালেবান যোদ্ধারা।

সীমান্ত ক্রসিং দখলে নেওয়ার পর একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করে তালেবান বাহিনী। এতে দেখা যায়, সীমান্তের পাকিস্তান-আফগানিস্তান ফ্রেন্ডশিপ গেইটের সামনে তালেবান যোদ্ধারা সাদা কাপড়ে কালো অক্ষরে লেখা পতাকা ওড়াচ্ছে।

এই ক্রসিংয়ের এক পাশে আফগানিস্তানের ওয়েশ শহর অন্যপাশে পাকিস্তানের চামান শহর অবস্থিত। স্পিন-বলদাক জেলার এই সীমান্ত ক্রসিংটি দক্ষিণাঞ্চলের বাণিজ্যের ধমনী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

বিবিসির খবর অনুসারে, আফগানিস্তান থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই ঝড়ের গতিতে একের পর এক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিচ্ছে তালেবান। বহু আগে থেকে গুঞ্জন রয়েছে তালেবানকে সামরিকসহ বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করছে পাকিস্তান।

কিন্তু আফগানিস্তানে পাকিস্তানের উদ্দেশ্য কী, সেখানে পাকিস্তান আসলে কী চায়? বর্তমান প্রেক্ষাপটে এই প্রশ্ন উঠছে।

এ বিষয়ে লন্ডনে সোয়াস ইউনিভার্সিটির সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ অ্যান্ড ডিপ্লোম্যাসির গবেষক এবং পাকিস্তান রাজনীতির বিশ্লেষক ড. আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, পাকিস্তানের মূল কৌশলগত লক্ষ্যই হচ্ছে আফগানিস্তানে ভারতকে যতটা সম্ভব দুর্বল করে ফেলা, অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলা।

তার ভাষায়, ভবিষ্যতে আফগানিস্তানের রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক নীতি নির্ধারণে ভারত যেন কোনো ভূমিকা না রাখতে পারে, সেটাই পাকিস্তানের মূল লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য হাসিলে তালেবানই হচ্ছে পাকিস্তানের প্রধান হাতিয়ার।

Tags: