muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

অর্থনীতি

কেজিতে ৭ থেকে ৮ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম

রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে পেঁয়াজের দাম কেজিতে সাত থেকে আট টাকা করে কমেছে।

বৃহস্পতি ও শুক্রবার কয়েকটি বাজারে ঘুরে দেখা যায় কাওরান বাজারে ৫০-৫৫ টাকা কেজিতে পাইকারী দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে দেশি ভালো মানের পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর ফরিদপুরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকা কেজিতে। আর ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।

তবে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬৩ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে। আর ভারতের পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে ৫৭ থেকে ৫৮ টাকা কেজিতে।

মীরপুর দুই বসতি হাউজিং এর মুদি দোকানগুলোতে প্রতিকেজি পিঁয়াজ ৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। একই এলাকার ভ্যান গাড়িতে পেয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি ।

পেয়াঁজের দাম নিয়ে খুচরা ব্যবসায়ী শামিম বলেন, যে পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি এখন একই পেঁয়াজ ৬৩ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করতে পারছি। দামের ব্যাপারে তো আমাদের কোনো হাত নেই। আমরা আড়ৎদারদের কাছ থেকে যে দামে কিনি, সেই দামের ওপর বাজার ধরে খুচরা বিক্রি করি। তবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা কমে গেছে। কাওরানবাজারের এক আড়তের মালিক বলেন, বাজারে ক্রেতা কম থাকায় বিক্রি কম হচ্ছে। তাই হঠাৎ করে দাম কমে গেছে। এছাড়া আমদানি অনুযায়ী চাহিদা অনেক কম।

সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়েছে। এর অংশ হিসেবে পেয়াজের আমদানির শুল্ক প্রত্যাহার করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে একটি পরিপত্রও জারি করেছে এনবিআর। সেখানে বলা হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানিতে কোনো শুল্ক দিতে হবে না।

তবে সাধারণ মানুষের ধারণা শুল্ক প্রত্যাহারের প্রভাব বাজারে পড়তে আরও সময় লাগবে।

গত ২০ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল। ২০ দিন আগেও যে পেঁয়াজ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে, তা এক লাফে ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি হয়ে গিয়েছিল।

বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশে প্রায় পাঁচ লাখ টন পেঁয়াজ মজুত আছে। মজুত থাকা পেঁয়াজ দিয়ে আরও দুই-তিন মাসের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

তবে ভোক্তাদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণেই পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। ভারতে বন্যার অজুহাতে পেঁয়াজ আমদানি করেও বাজারে বিক্রি কমিয়ে দিয়েছিল ব্যবসায়ীরা। এ কারণে পেয়াজের দাম ২০ দিনের ব্যবধানে দ্বিগুন হয়ে গিয়েছিল।

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে পেঁয়াজের ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। এবং পূজার কারণে আমদানি বন্ধ থাকায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল।

Tags: