muktijoddhar kantho logo l o a d i n g

দেশের খবর

চাকরির জন্য ‘ভুয়া ডিআইজি’ সেজে এসপিকে কল

পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে তদবির করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন তিন ব্যক্তি। তারা ময়মনসিংহের জেলা পুলিশ সুপারের কাছে মোবাইলে অতিরিক্ত সচিব-ডিআইজি পরিচয়ে কল দিয়ে পছন্দের প্রার্থীর জন্য তদবির করেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে অভিযানে নেমে গতকাল সোমবার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ছামিউল আলম (৬৬), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার কুড়িপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিন (৭৫) এবং মুক্তাগাছা উপজেলার রহিমবাড়ি গ্রামের মারুফ মিয়া (১৯)।

গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, সোমবার ময়মনসিংহে পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই পরীক্ষা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করতে পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান আগে থেকেই কড়া নির্দেশনা দেন। পুলিশ সুপারের নির্দেশে ডিবি পুলিশ আগেই গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। পরে তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়।

সফিকুল ইসলাম আরও জানান, জামালপুরের মেলান্দহ এলাকার ছামিউল আলম সোমবার পুলিশ সুপারের মোবাইল নম্বরে কল করে নিজেকে সরকারের অতিরিক্ত সচিব বলে পরিচয় দেন। তার পছন্দের তিনজন প্রার্থীকে পুলিশ কনস্টেবল (টিআরসি) পদে চাকরি দেওয়ার সুপারিশ করেন। এতে পুলিশ সুপারের সন্দেহ হলে ডিবি পুলিশ অভিযান নামেন। পরে ছামিউল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার কাজে ব্যবহৃত সিম ও মোবাইল জব্দ করে পুলিশ।

ছামিউল পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান তিনি একসময় পুলিশ বিভাগের অনিয়মিত খুচরা মোটর পার্টস সরবরাহকারী ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর অভিযানে ফুলপুরের জালাল উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি কনস্টেবল নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর অনলাইনে আবেদনকারীদেরকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাসে ওই এলাকার দুজনের কাছ থেকে অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা করে আদায় করেন।

জালাল উদ্দিন পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, কামরুল হাসান নামে এক ব্যক্তি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে টাকার বিনিময়ে চাকরি নিয়ে দিতে পারবেন- এমন আশ্বাসে তিনি পাঁচজন প্রার্থী সংগ্রহ করেন। এর আগে কামরুল এসব প্রার্থীদের রাজধানীর উত্তরায় নিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। মোবাইলে কামরুল প্রার্থীদের কাছে নিজিকে ডিআইজি পরিচয় দেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।

এদিকে আরেক অভিযানে মুক্তাগাছার মো. মারুফ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিবি পুলিশ জানায়, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পর অনলাইন আবেদন বাঁছাইয়ের পর কিছু বাতিল হয়। পরে ভুয়া প্রবেশপত্র তৈরি করে নিয়োগ বোর্ডে গেলে তার প্রবেশপত্র ভুয়া হিসেবে ধরা পড়লে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভুয়া প্রবেশপত্র তৈরিকারী হামিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির ব্যবহৃত কম্পিউটার জব্দ করা হয়েছে।

ওসি সফিকুল ইসলাম জানান, এ সব প্রতারকচক্রের নামে পৃথক মামলা হয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

Tags: